ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আসছে আসর নতুন ফরম্যাটে হতে যাচ্ছে। যেখানে এবারে খেলবে ৬ মহাদেশের ৩২টি দল। আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শহরের ১২ ভেন্যুতে হবে এই টুর্নামেন্ট।
অভিষেক আসরে মোট ১০০ কোটি আর্থিক পুরস্কারের কথা চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছিল ফিফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২ হাজার ১৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার সমান। আর বুধবার চ্যাম্পিয়নের পুরস্কারের অঙ্কটা জানাল ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
এই টুর্নামেন্টে ইউরোপের শীর্ষ কোনো দল (যেমন—রিয়াল মাদ্রিদ) চ্যাম্পিয়ন হলে পেতে পারে সর্বোচ্চ ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (১ হাজার ৫১৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা), যা ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি।
এর আগে লিওনেল মেসিরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেয়েছিলেন ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই সময় তা প্রায় ৪৪০ কোটি টাকার সমান ছিল, বর্তমানে ৫১০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি।
গতকাল ফিফা জানিয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার পুরস্কার হিসেবে ৩২ দলকে মোট ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (৬ হাজার ৩৮২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) দেওয়া হবে। শীর্ষ র্যাঙ্কিংধারী ইউরোপীয় ক্লাব (যেমন—রিয়াল মাদ্রিদ) টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে পাবে ৩ কোটি ৮১ লাখ ৯০ হাজার ডলার (৪৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা), ওশেনিয়া মহাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি অকল্যান্ড সিটি পাবে ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার (৪৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা)।
এদিকে ক্লাব বিশ্বকাপে মোট ৬৩ ম্যাচ হবে। বাকি ৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার (৫ হাজার ৭৭৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা) দেওয়া হবে সেই ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। আর গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ম্যাচের জয়ী দলের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২০ লাখ ডলার (২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা)। ম্যাচ ড্র করে দুই দল ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা সমানভাবে ভাগ করে নেবে।
শেষ ষোলো পর্বে জয়ী আট দল পাবে ৭৫ লাখ ডলার (৯১ কোটি ১৭ লাখ টাকা)। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী চার ক্লাব ১ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (১৫৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) করে, সেমিফাইনালে জয়ী দুই ক্লাব ২ কোটি ১০ লাখ ডলার (২৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা) করে পাবে।
রানার্সআপ দল ৩ কোটি ডলার (৩৬৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা) এবং চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪ কোটি ডলার (৪৮৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা)। ১৪ জুলাই ফাইনাল হবে ইস্ট রাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।