রবিবার, ০২:৪৪ অপরাহ্ন, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

গণতন্ত্র শুধু একটি দর্শন নয়, একটি কালচারও

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

আমাদের সময় : গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি হতে চলেছে। এক বছরকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : ষোলো বছরের যে ঘাটতি, তা এক বছরেই ঘুরে দাঁড়াবে- এটা ভুল ধারণা। একটা বিপর্যস্ত রাজনৈতিক কাঠামো, বিপর্যস্ত অর্থনীতি। এখানে আরও কতগুলো দিক জড়িয়ে রয়েছে। প্রথমত, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন। দ্বিতীয়ত, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা। তৃতীয়ত, রাজনৈতিক যে দাবিগুলো সামনে এসেছে, তার সুরাহা করা। অর্থাৎ, সংস্কার করা। সরকার আন্তরিকভাবে সংস্কারের জন্য কাজ করে চলেছে। ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। জুলাই সনদ প্রস্তুত করছে। সুতরাং এক বছরে এই সরকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।

তবে সমস্যা আছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষেত্রে সাধারণত এ রকমই হয়। মানুষ লগ্নি করতে ভয় পায়। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয় না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও আছে। এর পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিগত সরকার পুলিশ-প্রশাসনকে মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। তাই পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল না। এখন সেই আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা এ সরকার করে চলেছে।

আমাদের সময় : গণ-অভ্যুত্থানের পরে দুটি বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। একটি হচ্ছে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তর, আরেকটি সংস্কার। বিএনপির বিরুদ্ধে একটি সমালোচনা চলছে- বিএনপি সংস্কার চায় না। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য?

মির্জা আলমগীর : বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০, দুই হাজার বাইশ সালে ২৭ দফা এবং তেইশ সালে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা আমরাই দিয়েছি। আজ যে সংস্কারের কথা সবাই বলছে, তার সবই আছে আমাদের ৩১ দফায়। বিএনপির প্রতিপক্ষ দল সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। বিএনপি সব সময়ই সংস্কারের পক্ষে।

আমাদের সময় : জুলাই সনদ নিয়ে আপনার অভিমত জানতে চাই।

মির্জা আলমগীর : জুলাই সনদে দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একটি হলো- জুলাই ঘোষণাপত্র, যেখানে গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি থাকবে। আরেকটি বিষয় হলো- সংস্কার; সংবিধানের সংস্কার, রাষ্ট্রনীতির সংস্কার। এসব বিষয়ে বিএনপি আন্তরিকভাবে মতামত দিয়েছে। সবার সঙ্গে বসে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় বিএনপি যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। আশা করছি, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র আমরা হাতে পাব।

আমাদের সময় : ঐকমত্য কমিশনের কাজের দীর্ঘসূত্রতাকে কেউ কেউ সময়ক্ষেপণ বলে দাবি করছে…

মির্জা আলমগীর : আমি মোটেও তা মনে করি না। বিষয়টা এত সহজও না। গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে পড়েছিল। স্বৈরতন্ত্র পূর্ণমাত্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অবস্থায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে অনেক রকম কাটাছেঁড়া করতে হচ্ছে। অনেক ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসছে। তাদের একমত হওয়ার বিষয় আছে। তার পরও সরকার এবং দলগুলো যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। এসব সময়সাধ্য ব্যাপার। জুলাই সনদের খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। কারণ, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে। এর মধ্যে সংস্কার, বিচার- সব কাজ সম্পন্ন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের সময় : এনসিপি, জামায়াত, চরমোনাই পীরের দল মিলিয়ে জোটবদ্ধ কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান জানান দিচ্ছে। আগামীর নির্বাচনে তাদের জোট গঠনের কথাও শোনা যাচ্ছে। এটিকে বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে?

মির্জা আলমগীর : আমরা বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছি। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, নির্বাচনমুখী দল। এই দলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ আন্দোলন হওয়াটাই তো স্বাভাবিক বিষয়। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা এসব বিরোধিতাকে ইতিবাচকভাবেই দেখি। তবে এখনই এ বিষয়ে কোনো কমেন্ট করতে চাই না। কারণ জোটের রাজনীতি বাংলাদেশে আগেও হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। জোট হবে। জোট ভাঙবে। অতীতে আমরাও জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করেছি। এখনই এই বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করার সময় আসেনি।

আমাদের সময় : বিএনপি অতীতে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করেছে। সেই জোটসঙ্গী এখন সঙ্গে নেই। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক এখন কেমন?

মির্জা আলমগীর : বিএনপি একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল। জামায়াতও আলাদা একটি দল। জামায়াতের নীতি-আদর্শের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নেই। একটা সময় প্রয়োজনে আমরা জোট গঠন করেছিলাম। বিরোধী দলেও একসঙ্গে ছিলাম। পরে জোট ভেঙে দিয়েছি। কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনে আমরা পাশাপাশি থেকেছি।

আমাদের সময় : বিএনপি নিজেদের উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে দাবি করে।

মির্জা আলমগীর : দাবির বিষয় না। বিএনপি প্রকৃতপক্ষেই উদার গণতান্ত্রিক দল। দাবির কথা বললে আমি আপত্তি করব।

আমাদের সময় : গণ-অভ্যুত্থানের পর ধর্মীয় রাজনৈতিক বা ফান্ডামেন্টাল দলগুলোর উত্থানের প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।

মির্জা আলমগীর : ধর্মীয় রাজনৈতিক দল আর ফান্ডামেন্টাল দল কিন্তু এক বিষয় না। এটি মাথায় রেখে কথা বলতে হবে। বাংলাদেশে ডানপন্থিদের উত্থানের চেষ্টা চলছে, এটা আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি। ডানপন্থি দলগুলোর মধ্যে অনেকেই এতদিন আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল। এখন পুনর্গঠিত হচ্ছে। অপরাপর দলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরাও যারা লিবারেল গণতান্ত্রিক দল, তারাও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। মানুষের চিন্তার জগতে এক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তন কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নির্বাচনই বলে দেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানান দেবে। তাই আগে থেকে কিছু বলার নেই। ফ্রান্সের কথাই ধরুন। বিশ্ব মিডিয়া একসঙ্গে প্রচার করল এবার ফ্রান্সে ডানপন্থিরা ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনে হয়েছে উল্টোটা।

আমাদের সময় : গণ-অভ্যুত্থানের পরে শ্রীলঙ্কায় কিন্তু ক্ষমতাচ্যুতরাই পুনরায় ক্ষমতায় বসেছে…

মির্জা আলমগীর : আমি বলি, শ্রীলঙ্কায় কিন্তু অভ্যুত্থানের পরে নতুন সরকার গঠিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ অনেকেই পদচ্যুত হয়েছেন বটে, কিন্তু ওই সরকারই ক্ষমতায় ছিল। আমাদের এখানে ভিন্ন চিত্র। পুরো সরকারকাঠামোটারই পতন ঘটেছে। নতুন সরকার গঠন করতে হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

আমাদের সময় : পতিত স্বৈরাচারের দ্রুতই ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা? বহির্বিশ্বের অনেকেই বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে আগ্রহী। নির্বাচন কমিশন যদিও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে…

মির্জা আলমগীর : এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। একটি দলের যদি কার্যক্রম বন্ধ থাকে, তাহলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কীভাবে? আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আর আওয়ামী লীগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে। একটি দলকে বর্জন করা না করার সিদ্ধান্ত মূলত জনগণের হাতে। জনগণের রায়ই প্রকৃত রায়।

আমাদের সময় : জনগণ বা নির্বাচন কমিশন যা-ই করুক, বিএনপি দল হিসেবে কী চায়? আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে, নাকি নেবে না?

মির্জা আলমগীর : এটা বিএনপি কেন বলবে? জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটিই ঘটবে। জনগণ না চাইলে তো একটি দলের ভিত্তিই থাকবে না।

আমাদের সময় : এ ক্ষেত্রে এনসিপিসহ বেশ কিছু দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বা নির্বাচনের সুযোগ না দিতে দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবির সঙ্গে বিএনপি কি একমত?

মির্জা আলমগীর : আমি আপনার প্রশ্নের সঙ্গেই একমত না। দেখুন, বিএনপি সব সময় জনগণের ওপর ভরসা রাখে। বিএনপি বিশ্বাস করে, একটি দলের ভবিষ্যৎ আরেকটি দল নির্ধারণ করে দেবে না। দলের ভবিষ্যৎ জনগণের হাতে। সুতরাং জনগণই রায় দেবে দল হিসেবে কে নির্বাচনে থাকবে আর কে থাকবে না। জনগণের এই সিদ্ধান্তের ওপর আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে। তবে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা কোনো দলের রাজনৈতিক অধিকার হরণের পক্ষে না; হোক সে বিরোধী মতের দল।

আমাদের সময় : গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। দেশে যে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রচেষ্টা, সেটি ঠিক পথে এগোচ্ছে কিনা?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : এটা এই অল্প সময়েই বলা যাবে না। আমি আগেও বলেছি, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসনে আমাদের পুরো রাষ্ট্রকাঠামোই ভেঙে পড়েছে। সেখানে এক বছরেই পুরোপুরি উত্তরণ আশা করাটা বোকামি। এ সরকার তো প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক বিষয়ে তারা অগ্রসর হয়েছে। সুতরাং আমি আশাবাদী।

আমাদের সময় : নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটেছিল। ১৯৯১ সাল থেকে নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা দেখেছে এ দেশের মানুষ। তারপর ২০০৭-এ এসে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের বদলে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র দেখেছি। এখন কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে, আবার স্বৈরাচারব্যবস্থা ফিরে আসার সুযোগ আছে কিনা?

মির্জা আলমগীর : দেখুন, গণতন্ত্র শুধু একটি দর্শন নয়, একটি কালচারও। আমরা যদি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চায় রাখি, যদি গণতন্ত্রচর্চার মধ্য দিয়ে একটি সমাজ এগিয়ে যায়, তাহলে সেই সমাজে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চিত হয়নি। এখানে ক্যু হয়েছে। একনায়কতন্ত্র কায়েম হয়েছে। রাজনৈতিক উত্থান-পতন, দুর্যোগ, সমস্যা থাকবেই। এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে হবে। ক্যু করা, একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা, মার্শাল ল জারি করা- এসব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। সুতরাং এখানে গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা পায়নি। পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হবে।

আমেরিকার দিকে তাকান। সেখানেও রাজনৈতিক সংকট থাকে। তার পরও তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসতে পারে না। যুক্তরাজ্যেও তাই। সাউথ কোরিয়ার মতো রাজনৈতিক সমস্যা জর্জরিত একটি দেশেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো বজায় আছে। ভারতবর্ষেরও একই পরিস্থিতি। সবাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন করছে। এর কোনো বিকল্প নেই।

আমাদের সময় : সেই নির্বাচনের নিশ্চয়তা কি আদৌ আছে?

মির্জা আলমগীর : আমি আশাবাদী।

আমাদের সময় : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সর্বশেষ হাসিনার স্বৈরশাসন- বাংলাদেশের এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমা এবং আপনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে জুলাইয়ের আন্দোলনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মির্জা আলমগীর : দীর্ঘ পনেরো বছর একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি আমাদের শোষণ করেছে। তারা নামমাত্র গণতন্ত্র, নামমাত্র সংসদ টিকিয়ে রেখেছিল। মানুষের অধিকার ছিল না। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ ছিল। এমন অবস্থায় জুলাই আন্দোলন আমাদের অভিভূত করেছে। এটা মূলত কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল। সেই আন্দোলনে যখন স্বৈরাচারের নিপীড়ন নেমে এলো, যখন তরুণদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হলো, তখন আসলে সমগ্র জাতিই রুখে দাঁড়াল। এই আন্দোলন আমাদের সামগ্রিক রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী আন্দোলন।

আমাদের সময় : আগামীর বাংলাদেশ কেমন দেখতে চান?

মির্জা আলমগীর : আমি আশাবাদী মানুষ। আগামীর বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় দেখতে চাই। আমি আশা করছি, আমাদের বর্তমানের সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব। আমাদের দেশের মানুষ কর্মঠ ও সৃজনশীল। তারা পরিশ্রমী। নিজেরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে জানে। সঠিক রাজনৈতিক পরিবেশ পেলে এ দেশের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com