ভারতের কাছে প্রথম সেমিফাইনালে হেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার। এবার এলো স্টিভেন স্মিথের অবসরের খবর। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে এই টুর্নামেন্টে দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়া স্মিথ ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। আজ বুধবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) পাঠানো একটি বিবৃতিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
স্মিথ সেই বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই পথচলাটা অবিশ্বাস্য ছিল এবং প্রতিটা মিনিট উপভোগ করেছি। অসাধারণ কিছু মুহূর্ত এবং দুর্দান্ত স্মৃতি জমা হয়েছে। দুটি বিশ্বকাপ জয় জীবনের অন্যতম স্মরণীয় স্মৃতি। এই যাত্রাপথে পেয়েছি দুর্দান্ত কিছু সতীর্থকে। ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য দল গোছানো শুরু করতে হবে, তাই বাকিদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এটাই সেরা সময়। আপাতত টেস্ট ক্রিকেটই আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। এখনো ক্রিকেটকে দেওয়ার কিছু বাকি আছে।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ১৭০টি ওয়ানডে খেলেছেন স্মিথ। সেঞ্চুরি করেছেন ১২টি, ফিফটি ৩৫টি। ৪২.২৮ গড়ে রান করেছেন ৫ হাজার ৮০০, যা ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে দ্বাদশ সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৪ রানই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এই ফরম্যাটে ২৮টি উইকেটও নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচেও করেছেন ৭৩ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১৫ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন স্মিথ। মাইকেল ক্লার্কের পর তিনি ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ৬৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ৩২টি, পরাজয় ২৮টি। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে নেতৃত্ব হারান। তাকেসহ তিনজনকে এক বছর নিষিদ্ধ করা হয়। প্যাট কামিন্সের ইনজুরিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার কাঁধেই চাপে নেতৃত্বভার।
২০১০ সালে মেলবোর্নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্মিথের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল। তার অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘আমরা স্মিথের সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি। স্মিথ আগে অনেকবারই বলেছে যে, ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে সে প্রতিটা সিরিজ ধরে সে এগিয়ে যেতে চায়। তার চিন্তাধারা আমরা বদলে দিতে চাই না। আমরা তার পাশেই আছি।’