আরেক দফা চড়েছে চালের দাম। মোটা-চিকন সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা করে। চিনির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বেড়েছে ডাল, ভোজ্যতেল, আটা, মাছসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামও। নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। তবে কিছুটা কমেছে শীতকালীন সবজির দর। অস্থিরতা কমছেই না চালের বাজারে। দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকায় গেলো তিন সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে চালের দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়ে মোটা চালের দর। স্বর্ণা ও আটাশ কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। মিনিকেট কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। ১ টাকা কেজিতে বেড়ে নাজিরাশাইল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা।
মাছের বাজারেও নেই স্বস্তি। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমায় বেশিরভাগ মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন গেলো সপ্তাহ থেকে ৫০টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে সবধরনের মাছ। এক কেজি সাইজের ইলিশ কিনতে গুনতে হবে ১৪০০ এবং দেড় কেজি সাইজের দাম ১৭০০ টাকা।
মুদি বাজারে দেখা মিলছে না চিনির। বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে তেলেরও। বেড়েছে আটা ও সবধরনের ডালের দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি গুনতে হবে এসব পণ্য কিনতে। অসহায় ভোক্তারা বলছেন কোনকিছুতেই পেরে উঠছেন না তারা।
শীতকালীন সবজির বাজারে আসতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের দাবি কমতে শুরু করেছে এসব পন্যের দাম। তবে মৌসুম অনুযায়ী দাম নাগালের মধ্যে না থাকায় হতাশ ক্রেতারা।
৫ থেকে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৮৫ এবং আগের দামেই সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি।