মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারতের শুল্ক নীতিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে হত্যা করেছে।’ ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, ওয়াশিংটনকে ভারত ইতোমধ্যেই নতুন কোনো শুল্ক আরোপ না করার প্রস্তাব দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক নীতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত মঙ্গলবার ‘দ্য স্কট জেনিংস রেডিও শো’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ভারত) আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করে। চীন আমাদের শুল্ক দিয়ে শেষ করে দিচ্ছে। ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে হত্যা করছে। ব্রাজিলও তাই করছে।’
শুল্ক বিষয়ে নিজ জ্ঞান প্রকাশ করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বের অন্য কারও চেয়ে এই বিষয়ে বেশি জানেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর কর আরোপ করার পরই ভারত শুল্ক কমানো শুরু করেছে। ট্রাম্প ভারতের শুল্ক নীতিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, ভারত আমাকে জানিয়েছে, আর কোনও শুল্ক থাকবে না। কোনও শুল্ক নয়।’
শুল্কের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি আমার শুল্ক না থাকত, তারা কখনোই এমন প্রস্তাব দিত না। কখনোই না। তাই শুল্ক থাকা জরুরি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হব।’
তবে এটি ট্রাম্পের প্রথমবারের মতো এমন মন্তব্য নয়। এর আগে, সোমবার তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন একপাক্ষিক ছিল এবং এটি একপাক্ষিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ভারত শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তবে এটি অনেক দেরিতে এসেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করেছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘আপিল আদালত ভুলভাবে আমাদের শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তারা জানেন, শেষ পর্যন্ত আমেরিকাই জিতবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক। নয়াদিল্লি এই শুল্ককে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।