রবিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

জনগণ এই বাজেট ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে : রেজাউল করিম

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক ‍॥
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ জুন, ২০২২
  • ৯৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য একটি বাস্তবতা বিবর্জিত ও গণবিরোধী বাজেট পেশ করেছে। ঘোষিত বাজেটে শুধুমাত্র সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের স্বার্থরক্ষা ও লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীনরা কীভাবে আরো লুট করবে সে পথও সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। তাই এই বাজেট জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি গণবিরোধী বাজেট প্রত্যাহার করে অবিলম্বে সরকারকে দল নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের ম্যান্ডেট নেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহী করতে হবে।

শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য গণবিরোধী বাজেট ঘোষণার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১০ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ১২ নম্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাহফুজুর রহমান ও ডা: ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, হেমায়েত হোসানি, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ইয়াছিন আরাফাত ও জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, এ সরকারের বাজেট প্রণয়নের কোনো অধিকারই নেই। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা নৈশ্যভোটের সরকার। যারা জনগণের প্রতিনিধি নয়, তারা বাজেট প্রণয়নের কোনো অধিকার রাখে না। মূলত, এ বাজেট সাধারণ জনগণকে আরো চাপে ফেলবে। ঘোষিত বাজেটে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার অবারিত সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যা অনৈতিক এবং একই সাথে সংবিধান ও আইনের শাসন বিরোধী।

তিনি বলেন, এবারের বাজেট বর্তমান কঠিন সময়ের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত। বাজেটে দেশের মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। এতে করে লাভবান হবে সরকার সংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ গোষ্ঠী। অন্যদিকে নতুন বাজেটের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আরো প্রান্তিকতায় পতিত হবে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী। ডলারের বিপরীতে স্বল্পতম সময়ে টাকার মারাত্মক অবমূল্যায়ন ও দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ঘোষিত বাজেটে তার কোনো সমাধান নেই। তাই এই মিথ্যাচারের বাজেট জনগণ মেনে নেয়নি, নেবেও না।

মহানগরী সেক্রেটরি বলেন, বাজেটে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ও অনুদান গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। ব্যাংক ঋণ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট বাজেটের ৩৬ দশমিক ১৪ শতাংশই ঋণ নির্ভর। গত বছরের ন্যায় ঋণ পরিশোধ করতেই সরকারের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। তাই জাতীয় উন্নয়নে সরকারের কিছুই করার থাকবে না।-বিজ্ঞপ্তি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com