মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পরস্পরের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এড়াতে আরও ৯০ দিনের জন্য শুল্কবিরতি (ট্যারিফ ট্রুস) বাড়িয়েছে। এর ফলে বছরের শেষে গুরুত্বপূর্ণ ছুটির মৌসুমকে সামনে রেখে মার্কিন খুচরা ব্যবসায়ীরা মজুদ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিতে পারবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে এক ঘোষণায় জানান, তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে আগামী ১০ নভেম্বর মার্কিন পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক আরোপ স্থগিত থাকবে। এছাড়া চুক্তির অন্যান্য সব শর্ত আগের মতোই বহাল থাকবে।
একইভাবে মঙ্গলবার ভোরে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের উপর বিরতি জারি করেছে। এপ্রিল মাসে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মার্কিন সংস্থাগুলিকে যুক্ত করার বিষয়টিও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে তারা।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনো গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (পিআরসি) সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বাণিজ্যিক পারস্পরিকতার অভাব এবং এর ফলে সৃষ্ট জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ মোকাবিলায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আলোচনার মাধ্যমে পিআরসি একতরফা বাণিজ্য চুক্তির অসামঞ্জস্য দূরীকরণে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত উদ্বেগ সমাধানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে শুল্ক চুক্তি মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এই শুল্কবিরতির সময়সীমা নভেম্বরের প্রথম পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্রিসমাস মৌসুম ও শরৎকালের আমদানির উপর গুরুত্বপূর্ণ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে, যা ইলেকট্রনিক্স, পোশাক ও খেলনা জাতীয় পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে।
নতুন আদেশের ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক ১৪৫ শতাংশে ওঠার সম্ভাবনা থেকে বিরত থাকবে এবং চীনও মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকবে। এটি হলে দুদেশের মধ্যে কার্যত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হত। বর্তমানে চীনা আমদানির উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক বজায় থাকবে, আর মার্কিন আমদানির ওপর চীনের শুল্ক ১০ শতাংশ থাকবে। এটি আপাতত এই হারেই বহাল থাকবে।