শুক্রবার ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ছাত্রলীগের সাথে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে সবাই বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার রাতে ফেনী মডেল থানার এসআই সিরাজ মিয়া কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ২ শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাস্টার নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম-আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত ও দিদারুল আলম, পৌর যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, সদর উপজেলা সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, পৌর আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম পাভেল, সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইবু রয়েছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: নিজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইসলামপুর রোডে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। একইসময় সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ছাত্রলীগ পাল্টা মিছিল বের করে। এ সময় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের মিছিলে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে দুইপক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
হামলার সময় ইটপাটকেলে পাশ্ববর্তী শাহআলম টাওয়ার, মেঘনা ব্যাংক, গার্ডেন রেস্টুরেন্ট ও বলাই ইলেক্ট্রিকের গ্লাস-সাইনবোর্ড ভেঙ্গে যায়। এতে ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান রতনের মাথা ফেটে ও ছাত্রলীগ কর্মী আহাদের দুটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৮-২০ রাউন্ড টিয়ারশেলের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে দুইপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।