শনিবার, ০১:৫২ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ডাকসু ও রাজনীতি নিয়ে কী চলছে ঢাবিতে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি কোন অবস্থায় থাকবে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

গত বছরের ১৫ জুলাই ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব দ্রুতই রাজনীতি ফিরে আসে। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে না থাকা ইসলামী ছাত্রশিবিরও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ঘোষণা করে প্রকাশ্যে আসে।

এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) নামে একটি ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন নাম প্রকাশ করে। পরবর্তীতে অভিযোগ ওঠে, সংগঠনটি এনসিপির হয় কাজ করছে। যদিও দলটির নেতারা এ কথা অস্বীকার করেছেন।

বাগছাসের মুখপাত্র হাসিব আল ইসলাম বলেন, এটা আসলে অপপ্রচার। আমরা এনসিপির লেজুড়বৃত্তিক সংগঠন না। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি। এনসিপির সঙ্গে আমাদের সাংগঠনিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী প্রশ্ন রেখে বলেন, হলগুলোতে রাজনীতি করতে না দিলে ডাকসু নির্বাচনে তারা কীভাবে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, হলগুলোতে যদি আমাদের সাংগঠনিক কোনো রূপ না থাকে তাহলে আমরা প্রচার করব কীভাবে। আমাদের প্রকাশ্য সাংগঠনিক কাঠামো দরকার। ফলে আমরা হল কমিটি দিয়েছি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম কমিটি ঘোষণা করা ছাত্রিউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, হলের যে কোনো সংকট মোকাবিলায় হল কমিটির মাধ্যমেই কাজ করতে হয়। হলে রাজনীতি নিয়ে একটা ট্রমা বা ভীতি আছে। হলভিত্তিক অনেক সংকট আছে। সেগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির লোকেরা তো সেখানে যাবে না। সেখানে হল কমিটির নেতারাই ভূমিকা রাখবেন।

অনেক ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, আবাসিক হলগুলোতে প্রকাশ্য রাজনীতি না থাকলে সেখানে গোপন রাজনীতি বৃদ্ধি পাবে।

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, গোপন রাজনীতি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। গোপন রাজনীতি যারা করছে তাদের বিষয়ে কি প্রশাসনের কোনো অবস্থান আছে? প্রশাসন কঠোর না হলে গোপন রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব না।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম জানান, তাদের নেতাদের পরিচয় অন্যদের অজানা নয়।

তিনি বলেন, আমরা অসংখ্য প্রোগ্রাম করেছি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এগুলোতে হল থেকেই তো শিক্ষার্থীরা আসছে। হলগুলোতে আমাদের ছোট ছোট টিম তাদের কাছে গিয়েছে। এখন সবাই সবাইকে চেনে।

তথ্যসূত্র- বিবিসি বাংলা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com