বৃহস্পতিবার, ০৬:২০ অপরাহ্ন, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
দুর্জয়ের ৪ দিনের রিমান্ড সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা দুই সপ্তাহে ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের এনসিপির কর্মসূচির ব্যাঘাত ঘটাতে নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী! ‘শিশু হাসপাতালে ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ রাতের আঁধারে ভোটের মতোই’ হাসিনার পালানোর দৃশ্য ও যেসব স্মৃতির সাক্ষী হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ নির্বাচন সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয় : মির্জা ফখরুল

মঙ্গলে প্রাণ নেই কেন? নতুন তথ্য দিল নাসা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

মঙ্গল গ্রহকে বহুদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের বাসযোগ্য গ্রহ হিসেবে দেখেছেন। কারণ, অতীতে মঙ্গলে নদী, হ্রদ ও এমনকি সমুদ্র থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু এত কিছু থাকা সত্ত্বেও কেন মঙ্গলে এখন কোনো প্রাণ নেই? এই প্রশ্নের একটি সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে পেয়েছে নাসার রোভার কিউরিওসিটি।

সম্প্রতি মঙ্গলে খুঁজে পাওয়া কিছু শিলা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, সেখানে রয়েছে কার্বনেট খনিজ। এই খনিজ পৃথিবীতেও পাওয়া যায় এবং এটি বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে শিলার মধ্যে আটকে রাখে। পৃথিবীতে এই প্রক্রিয়াটি আবহাওয়া ও জলবায়ু ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মঙ্গলে এই প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে কাজ করেনি।

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, মঙ্গলে নদী-হ্রদ থাকলেও তা ছিল খুবই স্বল্প সময়ের জন্য। এরপর পুরো গ্রহ মরুভূমিতে রূপ নেয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পানি না থাকায় মঙ্গলে প্রাণ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ দীর্ঘমেয়াদে টেকেনি।

গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিজ্ঞানী এডউইন কাইট বলেন, মঙ্গলে কিছু নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে অল্প সময়ের জন্য প্রাণের উপযোগী পরিবেশ ছিল, তবে তা ব্যতিক্রম, নিয়ম নয়।

তিনি আরও বলেন, তরল পানি ক্ষণিকের জন্য ছিল, তারপর প্রায় ১০ কোটি বছর ধরে গ্রহটি হয়ে ওঠে শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ।

পৃথিবীতে আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত গ্যাস কার্বনের পুনর্ব্যবহার করে জলবায়ু ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা কম হওয়ায় এই প্রাকৃতিক চক্রটি বাধাগ্রস্ত হয় এবং কার্বন আটকে পড়ে শিলায়, ফলে গ্রহের তাপমাত্রা নেমে যায় এবং পরিবেশ শুষ্ক হয়ে পড়ে।

তবে বিজ্ঞানীরা এখনো আশা করছেন, মঙ্গলের গভীরে কোথাও তরল পানি লুকিয়ে থাকতে পারে। ২০২১ সালে নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গলের এক প্রাচীন নদীর মোহনায় অবতরণ করে এবং সেখানে কার্বনেটের চিহ্ন খুঁজে পায়। এটি প্রমাণ করে, কোনো একসময় মঙ্গল কিছুটা সময়ের জন্য হলেও বসবাসযোগ্য ছিল।

এইসব খনিজ ও শিলার আরও বিশদ বিশ্লেষণের জন্য বিজ্ঞানীরা চাইছেন, সেগুলো পৃথিবীতে এনে গবেষণা করতে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগামী এক দশকের মধ্যে মঙ্গল থেকে শিলা আনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

গবেষণাটি বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি প্রমাণ মেলে যে মঙ্গলে কখনোই প্রাণ জন্ম নেয়নি, তাহলে বোঝা যাবে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বেশ কঠিন এবং বিরল। আর যদি কোনো প্রাচীন জীবনের চিহ্ন পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে, গ্রহ পর্যায়ে প্রাণ সৃষ্টি মোটেও অসম্ভব নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com