প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। কমলাপুর স্টেশন থেকে কোনো বিলম্ব ছাড়াই বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ফলে এবার নির্বিঘ্নে বাড়ির পথে রওনা দিতে পারছেন যাত্রীরা।
আজ শনিবার সকাল থেকে সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে,কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীচাপ থাকলেও সময় মেনেই ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে করে যাত্রী দুর্ভোগ একেবারেই কম ছিল বলে জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর, মেইল, কমিউটার মিলে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নির্বিঘ্ন করতে ১২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া লোকাল, কমিউটার ও মেইল ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চলছে। পাশাপাশি ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখতে এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকাগামী ৯টি ট্রেনের বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকামুখী ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে জয়দেবপুরমুখী ট্রেনে টিকেট ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে।
কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রীদের সহযোগিতা করতে স্টেশনে স্কাউট সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালনের ব্যানারে স্টেশন প্রবেশ মুখে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র ছিল। সেখানে ছাত্ররা ট্রেনযাত্রীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে দেখা গেছে।
যাত্রীরা বলছেন, স্টেশনে ভোগান্তি ছাড়া এমন ঈদযাত্রা কমই পেয়েছেন। স্টেশনের ব্যবস্থাপনায় খুশি তারাও।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জানান, ঈদ যাত্রায় প্রতিদিন ৭১টি ট্রেন চলাচল করছে। যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ উপহার দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বদ্ধপরিকর। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সবচেয়ে বেশি ঘরমুখো মানুষ ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা করেন। এছাড়া তিন স্তরের টিকেট চেকার বসানো এবং বিনা টিকেটে কাউকে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি রেল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে না।
এবার ঈদ আনন্দ স্বজনদের সাথে ভাগাভাগি করতে টানা ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীরা।
ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তায় কমলাপুর রেলস্টেশনে কাজ করেছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।