শনিবার, ০৫:১৯ অপরাহ্ন, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

আল-আকসায় হাজারো ফিলিস্তিনির তারাবি আদায়

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। শুক্রবার ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে রমজানের চাঁদ দেখা যায়। ফলে সেখানে তারাবির নামাজও আদায় হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্স্ত ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদেও তারাবির নামাজ আদায় করেছেন হাজারো ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধ এবং কড়াকড়ি ব্যবস্থার মধ্যেও শুক্রবার রাতে তারাবি আদায় করেছেন তারা।

সাফা প্রেস এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী শিশুদের হয়রানি করছে এবং ভয় দেখাচ্ছে, লোকজনকে তল্লাশি করা হচ্ছে এবং মুসল্লিদের নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ৫৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের কম বয়সী নারীদের মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদের চারপাশে অতিরিক্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করে ইসরায়েল। রমজানের শুরুতেই এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পবিত্র রমজান মাসে যেন ফিলিস্তিনিরা সেখানে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যই এই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীরাই আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। সম্প্রতি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিরা রমজানের সময় আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ইসরায়েলের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, গত বছরও একই ধরনের বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছিল। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই বিধি-নিষেধ ‘বর্ণবাদী এবং উসকানিমূলক’।

রমজান মাসে পূর্ব জেরুজালেমের চারপাশে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। মসজিদের দিকে যাওয়ার রাস্তায় চেকপয়েন্টে তিন হাজার সশস্ত্র কর্মী মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের এই পবিত্র স্থানে এর আগেও বহুবার তারা এ ধরনের কাজ করেছে। জোর করে তারা আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে কাছাকাছি একটি স্থানে তালমুদিক প্রার্থনায়ও অংশ নিয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী একটি চুক্তির আওতায় সেখানে ইসরায়েলিদের প্রার্থনা এবং তালমুদিক রীতি পালন নিষিদ্ধ। কিন্তু বারবার এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে বসতি স্থাপনকারীরা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রীরা বহুদিন ধরেই বলে আসছেন যে, তারা এই মসজিদ প্রাঙ্গণ দখল করে সেখানে একটি সিনাগগ নির্মাণ করতে চান।

জেরুজালেম হলো ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের ১০০ বছরের সহিংসতার ইতিহাসের সাক্ষী। মুসলিম ও ইহুদি, দুই ধর্মাবলম্বীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত আল-আকসা মসজিদ। দুই ধর্মাবলম্বীই আল-আকসাকে নিজেদের বলে দাবি করেন।

মুসলিমদের জন্য তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান এটি। মসজিদ চত্বরটি মুসলিমদের কাছে হারাম-আল-শরীফ হিসেবেও পরিচিত। অন্যদিকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা আল-আকসা মসজিদ ও তার আশপাশের অংশকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাদের জন্য এটি বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। সূত্র: সাফা নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com