ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে হওয়া কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।
এদিকে কাছাকাছি অঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও। পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি এবং সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট।
তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ভারত থেকে ২১৬ কিলোমিটার (১৩৪ মাইল) দূরে বঙ্গোপসাগরে ৫.১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) এবং তা এলাকাটিতে ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের অগভীরতার কারণে একই মাত্রার গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় কেন্দ্রস্থলের কাছে কম্পন বেশি তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
আরও বলা হয়, আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে ভূমিকম্পের কারণে কম্পনের সম্ভাব্য অযাচাইকৃত প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছি। এই সম্ভাব্য ভূমিকম্পের তীব্রতা বা গভীরতা সম্পর্কে এখনও কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করতে পারি যে, আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে আরও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। উল্লেখিত অবস্থান, মাত্রা এবং সময় আমাদের সিসমিক মডেলের উপর ভিত্তি করে নির্দেশক। তবে এসব পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের পর্যবেক্ষণ দল জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি থেকে আরও সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষা করছে।
ভূমিকম্পটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও অনুভূত হতে পারে বলে ভলকানো ডিসকভারির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা বলেছে, ঢাকার তথ্যটি তারা যাচাই করতে পারেনি। হয়তো অতি সামান্য কম্পন ঢাকাতেও হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকাল ৬টা ৪০ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। এটি মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প ছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরই এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ফলে বেশি প্রভাব পড়েছে উপকূলের জেলাগুলোতে। বাংলাদেশ থেকে উৎপত্তিস্থল ছিল ৫০১ কিলোমিটার দূরে।’
বাংলাদেশে এটি অনুভূত হয়েছে খুব কম মাত্রায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এই ভূমিকম্প। কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও আশেপাশে কয়েকটি এলাকায় এই কম্পন অনুভূত হয়।
এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিনই ভারতের আরেক রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি এলাকায় ৩.৭ মাত্রা ভূমিকম্প হয়েছে বলেও জানা গেছে। সোমবার রাতে, মণিপুরের উরখুল এলাকায় মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ৩.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয় বলেও জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।