বুধবার, ০৭:২৪ অপরাহ্ন, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন ইহুদিরা

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ইসরায়েলের ইহুদিরা।২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর ৩০ লাখ ইসরায়েলি মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। ‘জেরুজালেম পোস্ট’ আজ এই খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সামরিক অভিযান ‘আল আকসা তুফান’ অভিযান ছিল ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাকাণ্ড, আল আকসা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা এবং ফিলিস্তিনি ভূমি বছরের পর বছর ধরে দখল করে রাখার ক্ষেত্রে তেল আবিব সরকারের ধারাবাহিক অপরাধযজ্ঞের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই অভিযান শুরু হয়েছিল এবং প্রায় দেড় বছর ধরে অব্যাহত ছিল।  ‘আল আকসা তুফান’ অভিযানের পর ইসরাইলি সরকার মার্কিন প্রশাসনের সহায়তায় গাজায় ধ্বংসাযজ্ঞ চালায়। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের শুরুর দিকে এক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই পক্ষ।

এই যুদ্ধে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ফলে বিপুল সংখ্যক ইহুদি হতাহতের শিকার হয়।  ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরাইল’ এই অভিযানকে ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং শাসক গোষ্ঠীর জন্য একটি বড় পরাজয় হিসেবে বর্ণনা করেছে।

গত ১৫ জানুয়ারি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করতে সক্ষম হয়। চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ইসরায়েলি ক্যাবিনেট অফিসের পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ‘আল আকসা তুফান’ অভিযানের পর অনেক ইহুদিবাদী বিপজ্জনক স্বাস্থ্য ও মানসিক সংকটে ভুগছেন। কারণ, অফিসের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৮ শতাংশ বলেছেন আল আকসা অভিযানের ঘটনায় তারা চরম উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠায় ভুগছেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ইহুদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫ লাখ ৮০ হাজার গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন।

এর আগে এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল, প্রধান সমস্যাটি কেবল আহতের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং ইসরায়েলি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের অক্ষমতার সঙ্গেও সম্পর্কিত। এর ফলে যুদ্ধের সৃষ্ট মানসিক জটিলতায় ভুগছেন ৯ লাখ মানুষ। তারা দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে পরিষেবার জন্য আবেদনিই করেননি। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এই অপেক্ষা সাড়ে ৬ মাস পর্যন্ত পৌঁছায়।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার পর্যবেক্ষকের প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা মানসিক স্বাস্থ্য সংকট যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং গাজার আশেপাশের বসতি থেকে স্থানান্তরিত হওয়া ১১ শতাংশ ব্যক্তি ছাড়া যুদ্ধের পরের ছয় মাসে কেউ মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পায়নি, যদিও তাদের এই ধরনের পরিষেবার জরুরি প্রয়োজন ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com