এশিয়া কাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা মিরপুরে ফিটনেস স্কিল অনুশীলন শুরু করেছে। তাদের জন্য বিসিবি উড়িয়ে এনেছে বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে। তার সঙ্গে সেশনও করেছেন টাইগাররা। ঢাকার পর্ব শেষে সিলেটে শুরু হবে তাদের মূল স্কিল ক্যাম্প। সেখানেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরপর এশিয়া কাপ খেলতে উড়াল দেবেন মরুর দেশ আরব আমিরাতে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ ছাড়াও আসন্ন নেদারল্যান্ডস সিরিজ, উডের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গতকাল কথা বলেছেন জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী। বিস্তারিত-
এশিয়া কাপে আপনাদের লক্ষ্য কী থাকবে?
জাকের আলী : আমরা এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যাচ্ছি। আমিসহ দলের সবাই এটা বিশ্বাস করে। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
আপনি নিজের জন্য কোনো গোল সেট করেছেন কিনা?
জাকের আলী : না, আমি নরমালি এত গোল সেট করি না আসলে। কারণ টি-টোয়েন্টিতে আমার ব্যাটিংটা সার্টেন চেঞ্জ হয়ে যায়। কখনও আগে যেতে হয় তো আসলে ওই রকম গোল সেট করাটা খুব ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। ওই রকমই গোল থাকে যে, ম্যাচে যে পজিশনে যাব, যদি পাঁচে ব্যাটিং করি একটু বড় রান করার, আর যদি সাতে কিংবা ছয়ে ব্যাটিং করি তখন কুইক কম বলে যত রান করা… এরকমই, এর চেয়ে বেশি গোল করা আমার জন্য পসিবল হয় না আসলে।
নেদারল্যান্ডস সিরিজ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
জাকের আলী : ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি- তাহলে এটা একটা আন্তর্জাতিক সিরিজ। অবশ্যই আমাদের প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য যাওয়া উচিত। দলেরও একইরকম চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, প্রতিটি ম্যাচে জিততে হবে, একই প্রচেষ্টা দিয়ে খেলতে হবে। হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলি, সেটি যে কোনো দলের বিপক্ষেই হোক, আমরা সমানভাবে চেষ্টা করব।
ফিটনেসের উন্নতির জন্য নাথান কেলির অধীনে কাজ করেছেন। তিনি তো খেলোয়াড়দের একটি মানও বেঁধে দিয়েছেন…
জাকের আলী : কেলি আসার পর আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন আমাদের কষ্ট হচ্ছে, তবুও আমরা সবাই ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের সবার গায়ে ট্র?্যাকার লাগানো থাকে, কে প্রথম কে দ্বিতীয় এটা দেখার বিষয় না। কে বেশি চেষ্টা করছে সেটা কেলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের সঙ্গে আপনাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা যদি বলেন…
জাকের আলী : আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের কিছু স্কিল নিয়ে কাজ হচ্ছে। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। যারা জেনেটিক্যালি ভালো আছে, তারা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে। যারা টাইমার, তাদেরকে কীভাবে আরও ২-৩ মিটার ভালো দূরত্ব দেওয়া যায়, ওই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।
উডের সঙ্গে ঢাকায় কয়েক দিন সেশন করেছেন আপনারা। দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়েছে কিনা?
জাকের আলী : এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কী উন্নতি হলো, কী না হলোÑ এগুলো বুঝতে আরেকটু সময় লাগবে; কিন্তু আমাদেরকে যে কাজগুলো দেওয়া হয়েছে, ওই কাজগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। এই সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ডিফারেন্ট ড্রিলসগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।
উডের স্পেশাল ‘প্রো ভ্যালোসিটি’ নামের ব্যাট দিয়ে অনুশীলনের কিছু ভিডিও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ব্যাট নিয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা যদি ভাগাভাগি করেন…
জাকের আলী : হ্যাঁ অবশ্যই, ভালো একটা অনুভূতি আসে। যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা বের করা যায়, তখন ভালো লাগে; কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এই জিনিসগুলো ধারাবাহিকভাবে করলে অবশ্যই কাজে দেবে।
বিশেষ এই ব্যাটের মাধ্যমে কতটা উন্নতি হবে ব্যাটারদের?
জাকের আলী : পরিবর্তনগুলো ম্যাচ ছাড়া মেজার করা যাবে না। যেহেতু দুই-তিন দিনই হলো, ম্যাক্সিমাম স্কিল নিয়ে কাজ হয়েছে। তো এগুলা সামনে হয়তো সিলেটে আমাদের নেট হবে, ওইখানে আরও ডিফারেন্ট কিছু হবে।
এজন্য খেলার ধরন পাল্টে ফেলতে হবে কিনা?
জাকের আলী : যারা টাইমার, তারা কীভাবে আরও ৪-৫ মিটার বাড়াতে পারে শটের দূরত্ব, সেটা নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। টাইমারদের কিন্তু পাওয়ার হিটার হতে বলেননি কোচ। টাইমাররা টাইমারই থাকবে। তারা কীভাবে শটের দূরত্ব আরও ৪-৫ বা ৬ মিটার বাড়াতে পারে। এটা হলে যা হবেÑ আগে যেটা আউট হতো, সেটা এখন ছক্কা হয়ে যাবে।
উডের কাছ থেকে আপনি কতটা শিখলেন?
জাকের আলী : অভিজ্ঞতাটা ভালোই হচ্ছে।