বৃহস্পতিবার, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও আওয়ামী দোসরদের হাতে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন শ্রমিক দল নেতা, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবে প্রবাসীরা নিউরোসায়েন্সেসের চিকিৎসকের জবানবন্দি : হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করবে ইসি ফাঁকা মেসে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ, চিরকুটে লেখা— ‘বাবা-মা আমায় ক্ষমা করে দিও’ নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি উচ্ছেদে অভিযান তোমরা পিআরের কথা বলো, আবার ৩০০ আসনে মনোনয়ন দাও: আহমেদ আযম ফ্রি নেট সংযোগ না পেয়ে যুবককে পেটানো পুলিশের এসআই ক্লোজড দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

জাপানের আবে হত্যায় ইয়ামাগামি অভিযুক্ত

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১১২ বার পঠিত

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যায় তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে (৪২) অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আইনজীবীরা। শুক্রবার বিচারের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের নারাতে একটি ট্রেন স্টেশনের বাইরে নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলি লেগে মারা যান আবে। তাকে গুলি করার অভিযোগে অবিলম্বে তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর ইয়ামাগামিকে প্রায় ছয় মাসের জন্য ওসাকার একটি মানসিক মূল্যায়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর ইয়ামাগামি নারায় পুলিশ হেফাজতে ফিরে এসেছে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইয়ামাগামির মানসিক মূল্যায়নের ফলাফলে জানা গেছে, তিনি বিচারের উপযুক্ত।

এছাড়া নারা জেলা আদালতে ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে।

পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন, একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার কারণে তিনি আবেকে হত্যা করেন।

তার দেয়া বিবৃতিতে এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন, তিনি (আবে) বিদ্বেষ তৈরি করেছিলেন। যার কারণে তার মাকে ইউনিফিকেশন চার্চে অনেক বড় অংকের টাকা দিতে হয়। যার ফলে তার পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়; যা তার জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

তার আইনজীবীদের একজন মাসাকি ফুরুকাওয়া বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ওসাকায় তার মানসিক মূল্যায়নের সময় ইয়ামাগামি সুস্থ ছিলেন। সেসময় কেবল তার বোন এবং তিনজন আইনজীবীকে তার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়।

ফুরুয়া বলেছেন, মামলার জটিলতার কারণে তার বিচার শুরু হতে অন্তত কয়েক মাস সময় লাগবে।

পুলিশ ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে অস্ত্র উৎপাদন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন এবং ভবনগুলোর ক্ষতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ যুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে।

তবে কিছু জাপানি ইয়ামাগামির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে যারা দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইউনিফিকেশন চার্চের অনুসারীদের সন্তান। অনুগামীদের বড় দান করার জন্য চাপ দেয়ার জন্য এটি পরিচিত এবং জাপানে এটি একটি ধর্ম বলে বিবেচিত হয়।

হাজার হাজার মানুষ ইয়ামাগামির লঘু শাস্তির জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে এবং অনেকে তার আত্মীয়দের বা আটক কেন্দ্রে কেয়ার প্যাকেজ পাঠিয়েছে।

এই মামলার তদন্তের ফলে আবের শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গির্জার মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা নিবিড় সম্পর্কের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে।

কারণ আবের দাদা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশি ১৯৬০-এর দশকে রক্ষণশীল ও বিরোধীদের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থের জন্য জাপানে এই চার্চের শিকড় বিস্তৃত করতে সাহায্য করেছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com