বুধবার, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও আওয়ামী দোসরদের হাতে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন শ্রমিক দল নেতা, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবে প্রবাসীরা নিউরোসায়েন্সেসের চিকিৎসকের জবানবন্দি : হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করবে ইসি ফাঁকা মেসে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ, চিরকুটে লেখা— ‘বাবা-মা আমায় ক্ষমা করে দিও’ নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি উচ্ছেদে অভিযান তোমরা পিআরের কথা বলো, আবার ৩০০ আসনে মনোনয়ন দাও: আহমেদ আযম ফ্রি নেট সংযোগ না পেয়ে যুবককে পেটানো পুলিশের এসআই ক্লোজড দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

নিউরোসায়েন্সেসের চিকিৎসকের জবানবন্দি : হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে গুরুতর আহত যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয় তাদের বেশিরভাগের মাথার খুলি ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান।

বুধবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানান। তিনি গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার ১৩তম সাক্ষী।

শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন। আজ তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলি ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।’

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের প্রায় ৩৩টি অস্ত্রোপচার নিজে করেছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। অনেকগুলো গুলি ও পিলেট রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জব্দ তালিকামূলে দুটি পিলেট এবং একটি বড় বুলেট ও আরও একটি গোলাকার বুলেট জব্দ করেছে।’

জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাকে চাপ দেন।

মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘(ডিবি) বলে, আপনি অতি উৎসাহী হবেন না, আপনি বিপদে পড়বেন। তারা আরও বলে, যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ করবেন না—এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি।’

জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, উপরিউক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা। তার নির্দেশ কার্যকরকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এবং যারা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নিহত ও আহত করেছেন, তাদের বিচার ও ফাঁসি চান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com