শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে পথচলা শুরু হয় মেহের আফরোজ শাওনের। হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ ধারাবাহিক নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। এরপর কাজ করেছেন বেশ কিছু নাটক ও সিনেমায়। কাজের সুবাদে একে অপরের প্রেমে পড়ে ঘর বাঁধেন হুমায়ূন ও শাওন। তবে বিয়ের পর অভিনয়ে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েন শাওন। সর্বশেষ ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
দীর্ঘ বিরতি ভেঙে অবশেষে ফিরছেন শাওন। ১৭ বছর পর সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘নীল জোছনা’য় দেখা যাবে শাওনকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
তিনি জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর পর সিনেমায় অভিনয় করছেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় শুটিং করেছিলেন তিনি। আর এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘প্যারাসাইকোলজি বিষয় নিয়ে নির্মিত হচ্ছে “নীল জোছনা”। এতে আমাকে শহুরে এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। দীর্ঘদিন পর সিনেমার শুটিং করব। তবে প্রযোজক ও পরিচালকের পলিসিগত কারণে এখনই সিনেমা কিংবা আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাইছি না।’
শাওন জানান, ১৭ বছর পর সিনেমায় নাম লেখালেও, অভিনয়ে ফিরলেন ১৩ বছর পর। ২০১১ সালে সবশেষ অভিনয় করেছিলেন ‘স্বর্ণকলস’ নাটকে। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
এদিকে, মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এতে শাওন ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, পার্থ বড়ুয়া, এস এম নাঈমসহ অনেকে। আছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দামও।
‘নীল জোছনা’ নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খানে চতুর্থ সিনেমা। এর আগে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ ও ‘জেকে ১৯৭১’।