বৈসু সাংগ্রাইং বিঝু ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বর্ণাঢ্য আয়োজন
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: বৈসাবী উৎসবের জোয়ারে ভাসছে পাহাড়। বর্ণাঢ্য র্যালী নানা আয়োজনে সকল ভাষাভাষীর মিললমেলায় পরিণত হয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল ২০২৩) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব।
সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে শান্তির প্রতিক সাদা পায়রা ও রঙিন বেলুন উঠিয়ে র্যালীর উদ্বোধন করেন উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সু-দুঢ় হবে। সে সাথে সকল ভাষাভাসীর মেলবন্ধনে পার্বত্য জেলা শান্তির নিবাসে পরিণত করতে সকলের আন্তরিকতা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকল ভাষাভাষীর মিললমেলা
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক,ডিজিএফআই খাগড়াছড়ির ডেট কমান্ডার লে কর্ণেল শাহ আলম সিদ্দিক,সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো. আবুল হাসনাত, এএসইউ এর খাগড়াছড়ি ডেট কমান্ডার মেজর রেজা-ই-রাব্বি,এনএসআই খাগড়াছড়ির যুগ্ম পরিচালক মো: ফিরোজ রাব্বানী, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাহিদ হাসান, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খিসা,প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ,জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলা মং চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,এড. আশুতোষ চাকমা,নিলোৎপল খীসা,এমএ জব্বার রে¤্রাচাই চৌধুরী,মংক্যচিং চৌধুরী,খোকনেশ্বর ত্রিপুরা,মাঈন উদ্দিন,শাহিনা আক্তার,শতরূপা চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারসহ বিভিন্ন সামরিক বেসামরিক নেতৃবৃন্দ, পরিষদ সদস্যসহ বিভিন্ন জাতী সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়।
পরে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌর টাউন হলে গিয়ে ডিসপ্লেতে মিলিত হয়। এদিকে নদীতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে বুধবার (১২ এপ্রিল) পাহাড়ে জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে উৎসবে রং ছড়িয়ে পড়েছে।
বর্ণিল পোষাকে নানা বয়সের তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে র্যালিতে আনন্দে মেতে উঠে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে মুখোরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। পরে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ১২ এপ্রিল চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে বৈসাবি। সকালে চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীতে ফুল ভাসানো হবে। ১২ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিঝু। ১৪এপ্রিল পহৈলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। একই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সাথে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্ণায় গঙ্গা দেবীর পূজা আরাধনা করা হবে। ১৪ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব এবং বাংলা নববর্ষের র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে পাহাড় এখন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে।
প্রসঙ্গত: ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরতরা মিলেমিশে ‘বৈসাবি’র নাম করণ করে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
তারিখ: ১১-০৪-২০২৩
বৈসু সাংগ্রাইং বিঝু ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বর্ণাঢ্য আয়োজন
বৈসাবী উৎসবের জোয়ারে ভাঁসছে পাহাড়
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: বৈসাবী উৎসবের জোয়ারে ভাসছে পাহাড়। বর্ণাঢ্য র্যালী নানা আয়োজনে সকল ভাষাভাষীর মিললমেলায় পরিণত হয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল ২০২৩) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব।
সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে শান্তির প্রতিক সাদা পায়রা ও রঙিন বেলুন উঠিয়ে র্যালীর উদ্বোধন করেন উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সু-দুঢ় হবে। সে সাথে সকল ভাষাভাসীর মেলবন্ধনে পার্বত্য জেলা শান্তির নিবাসে পরিণত করতে সকলের আন্তরিকতা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকল ভাষাভাষীর মিললমেলা
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক,ডিজিএফআই খাগড়াছড়ির ডেট কমান্ডার লে কর্ণেল শাহ আলম সিদ্দিক,সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো. আবুল হাসনাত, এএসইউ এর খাগড়াছড়ি ডেট কমান্ডার মেজর রেজা-ই-রাব্বি,এনএসআই খাগড়াছড়ির যুগ্ম পরিচালক মো: ফিরোজ রাব্বানী, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাহিদ হাসান, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খিসা,প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ,জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলা মং চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,এড. আশুতোষ চাকমা,নিলোৎপল খীসা,এমএ জব্বার রে¤্রাচাই চৌধুরী,মংক্যচিং চৌধুরী,খোকনেশ্বর ত্রিপুরা,মাঈন উদ্দিন,শাহিনা আক্তার,শতরূপা চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারসহ বিভিন্ন সামরিক বেসামরিক নেতৃবৃন্দ, পরিষদ সদস্যসহ বিভিন্ন জাতী সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়।
পরে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌর টাউন হলে গিয়ে ডিসপ্লেতে মিলিত হয়। এদিকে নদীতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে বুধবার (১২ এপ্রিল) পাহাড়ে জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে উৎসবে রং ছড়িয়ে পড়েছে।
বর্ণিল পোষাকে নানা বয়সের তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে র্যালিতে আনন্দে মেতে উঠে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে মুখোরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। পরে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ১২ এপ্রিল চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে বৈসাবি। সকালে চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীতে ফুল ভাসানো হবে। ১২ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিঝু। ১৪এপ্রিল পহৈলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। একই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সাথে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্ণায় গঙ্গা দেবীর পূজা আরাধনা করা হবে। ১৪ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব এবং বাংলা নববর্ষের র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে পাহাড় এখন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে।
প্রসঙ্গত: ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরতরা মিলেমিশে ‘বৈসাবি’র নাম করণ করে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
তারিখ: ১১-০৪-২০২৩