বৈশ্বিক মহামারি করোনা কেড়ে নিয়েছিল স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ। মহামারির দুঃসময় কাটিয়ে ফের এসেছে স্বাভাবিকতার আলো।
আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯। পয়লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। আসলে কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক
এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নববর্ষের এই দিনে আমার পত্রিকার, দেশে বিদেশের অগনিত পাঠক, পত্রিকার পরিবার , বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাঙ্খীদের জানাই বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
দিদার সরদার
প্রকাশক ও সম্পাদক – সময়ের কণ্ঠধ্বনি এবং
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব ডিরেক্টর -৩১৫ বি ১ – বাংলাদেশ, ও
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক(UAHR),
পরিচালক ও উপদেষ্টা জাতীয় কবি পরিষদ (জাকপ)।
হংকং: ১৪-০৪-২০২২ ইং