গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই শুরু হয়েছে, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।
বুধবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিএনপি ঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের উন্নয়নের গল্প লুটপাটের জন্য, জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে গণতন্ত্র ও লুটপাটের বিরুদ্ধে সেই পাকিস্তান আমল থেকে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করে আসছি। ভেবেছিলাম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর এই সংগ্রাম শেষ হয়েছে। কিন্তু কষ্টের সাথে বলতে হয় আজকে এই গণঅবস্থান কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য করছি। কাদের বিরুদ্ধে? যারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফাতার এবং কারাবন্দী নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান মন্টু।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সুশাসন ও গণতন্ত্র অচল করে এই কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের সুখ-শান্তি বিনষ্ট করেছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ক্ষমতা দখলের নীল নকশা সাজিয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতার দম্ভে আপনারা ভুলে গেছেন এদেশের জনগণ কোনোদিনই দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী সরকারকে মেনে নেয়নি। এবারো আপনাদের মানবে না অতীতেও মানেনি যদিও আপনারা জনগণের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে অবৈধভাবে টিকে আছেন। এটা লজ্জার! অবিলম্বে আপনাদের দুঃশাসন হটাতে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে গণফোরাম।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খোকন প্রমুখ।