শনিবার, ০১:৫৬ অপরাহ্ন, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

এত সম্পদ কীভাবে হলো, জানালেন হিরো আলম

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৭৩ বার পঠিত

আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, সম্পদের পরিমাণ বলতে আমার কিছু ধানি জমি আছে। নতুন একটা বাসা করছি। আর একটা গাড়ি আছে। ৫ লাখ টাকার কথা বলেছি, উকিল শূন্য একটা বেশি বসিয়ে দিয়েছেন। উকিলের ভুলে সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সম্পদের পরিমাণ কীভাবে বেড়েছে, তা জানতে চাইলে হিরো আলম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কিছু লোক তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে। আমার জমা দেওয়ার কথা ২০ লাখ, ওরা হয়ত ৫০ লাখ করে দিয়েছে। লিখতে তো আর সমস্যা হয় না, বলতেও সমস্যা হয় না। দেখতে হবে কোটি কোটি টাকা আছে কি না। এটা আমি চাইলেও লুকিয়ে রাখতে পারব না। এত সম্পদ যদি থেকে থাকে তাহলে দুদক অবশ্যই তা খুঁজে দেখবে।

এর আগে বগুড়া ৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও ৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সম্পদ বিবরণীর হলফনামা দাখিল করে তিনি। এ নিয়ে পত্রিকায় ‘হিরো আলম চার বছরের ব্যবধানে কোটিপতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করলে আজ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেন তিনি।

হিরো আলম বলেন, প্রতিটা মানুষের নির্বাচন করার অধিকার আছে। আমার এমন কোনো বয়স হয়নি যে, আমি নির্বাচন করতে পারব না। যেহেতু নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছি, দেখি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব। আমি পরিপূর্ণভাবে সব (নথিপত্র) জমা দিয়েছি। এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিদ্ধান্ত দিলে বুঝতে পারব, তারা সুষ্ঠু বিচার করলেন না অবিচার করলেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ১০০ শতাংশ জয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি বলেন, কমিশনের প্রতি অনুরোধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখবেন, আমার সব কিছু ঠিক থাকলে যেন প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইসি থেকে বাতিল হলে হাইকোর্টে যাব।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যখন ভোট করি তখনও একই কারণে বাতিল করা হয়েছিল। জানামতে এবার সে ভুল করিনি। একটা ভুল তারা ধরেছেন। একজন ভোটারের নাকি নম্বর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নামে আমি কারো নম্বরই জমা দিইনি। বিষয়টি আমি ইসিকে জানিয়েছি।

তিনি বলেন, বগুড়া সদর ও কাহালুর দুই আসনে শুধু আমিই নই, মোট ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বেশিরভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী। সবার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে ভুল। আমার নামে কোনো মামলা নেই বলেন, খেলাপি ঋণ নেই। শুধু বের করেছে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে ভুল।

কিছু লোক সম্মান নষ্ট করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র যদি নাই হবে তাহলে একটা আসনে তো মনোনয়ন পেতাম। দুইটা আসন থেকে কেন বাতিল করা হলো? কারা ষড়যন্ত্র করছেন এ মুহূর্তে বলব না। যখন ভোটের মাঠে যাব তখন সবাই জানতে পারবেন। পরবর্তীতে সব তুলে ধরব।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরদিন বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় পরে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শূন্য হওয়া আসনগুলোয় নির্বাচন হবে আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com