অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার বৃথা চেষ্টায় সরকার নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগার পরিবর্তন এবং কোর্টে হাজিরা দেয়ার সময় ডাণ্ডাবেড়ী পড়ানোর মত নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার বৃথা চেষ্টায় সরকার আরো বেপরোয়া, হিংস্র, প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা নন; তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সরকারের হাতে নিহত, আহত ও নির্মম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে এই মাসেই অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এজাহারভূক্ত আসামি না হওয়া সত্ত্বেও বার বার তাদের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং কারাগারে প্রাপ্য মর্যাদা ও সুবিধাদি না দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, দলের স্থায়ী কমিটি মেট্রোরেল আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে মেট্রোরেলের ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল এই ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। শুধু দেশের বেসরকারি বাস ভাড়ার দ্বিগুন নয় ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন নগরীর মেট্রোরেলের ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে পাঁচ গুন বেশি। জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ গণতান্ত্রিক সরকার হলে ক্ষমতাসীন সরকার এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারত না।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, সভায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে সক্রিয় দেশের সকল দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ, রাজনৈতিক দল, শ্রেণী-পেশার সংগঠনকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তির এই লড়াইকে তীব্রতর করার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।