বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশস্থল গোলাপবাগ মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে। মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। শনিবার সরেজমিনে সমাবেশের পার্শ্ববর্তী এলাকা যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে, সায়েদাবাদ, মুগদা, মানিকনগর, কমলাপুর, গোপীবাগ, খিলগাঁও ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল বিকেলে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর পরেই সমাবেশস্থল রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ অভিমুখে ঢাকার বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। শনিবার সকালেও দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাব্স্থেলে আসে নেতাকর্মীরা। কিন্তু মাঠ কানায় কানায় ভরে যাওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নেন তারা।
সায়েদাবাদ মোড়সহ আশপাশের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান ও মিছিল দিতে দেখা গেছে। সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে জনস্রোত। ঢাকার বাইরে থেকে আসা এক কর্মী বলেন, ‘যতই বাধা আসুক , আমরা সমাবেশ সফল করবই। রাস্তায় রাস্তায় চেকপোষ্ট বসিয়ে বাধা দিয়েছে পুলিশ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তারপরও এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বলা হলেও মূলত জাতীয় সমাবেশে রূপ নেবে। যদি সরকার টালবাহানা না করতো তাহলে সারা ঢাকা নেতাকর্মী দিয়ে ভরে যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দক্ষিণ কমলাপুর এলাকায় শরীয়তপুর থেকে আসা শরিফুল বলেন, ‘আমাদের মিছিল এখানেই থেমে গেছে। এখান থেকে সমাবেশ স্থল আরো এক কিলোমিটার দূরে শুনলাম। স্থলে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। যেতে পারব কিনা বলতে পারছি না। এত নেতাকর্মী দেখে আমার মন ভরে গেছে। আসার পথের কষ্ট ভুলে গেছি’।
এর আগে গতকাল বিকেলে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। অনুমতির পর পরই মাঠে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। রাতেও মাঠে অবস্থান করেন তারা। শুনিবার বেলা ১১টা থেকে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ৮টায় মাঠ নেতাকর্মীতে ভরে যাওয়ার দাবি করেন বিএনপি নেতারা।