দ্রুত এগিয়ে চলছে দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর আধুনিকায়নের কাজ। রেল সংযোগের পাশাপাশি বন্দরটিতে যুক্ত হতে যাচ্ছে সড়ক সংযোগও। ফলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে মিলবে বাড়তি সুবিধা। ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের সাথেও সংযোগ সুবিধা বাড়বে। যা আগামী বছরেই শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের বিরল ও ভারতের রাধিকাপুরের মধ্যে রেল সংযোগ ছিলো বৃটিশ আমল থেকেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্থাপিত হয় ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ও শুল্ক ষ্টেশন। এই রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার ও পণ্য পরিবহন হলেও বিরলে ছিলো না সড়ক পথে সংযোগ। তবে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নির্মিত হয়েছে পাকা সড়ক। সেই সাথে বাড়ানো হচ্ছে রেল সেবার পরিধিও। ভারতের রাধিকাপুর পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ব্রডগেজ রেলপথ স্থাপনের কাজ। স্থলবন্দরের নুতন অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ১৭ একর জায়গায় মাটি ভরাট ও নির্মাণের কাজ চলছে। শুরু হয়েছে রেলস্টেশন নির্মাণের প্রক্রিয়াও। এতে উচ্ছসিত স্থানীয়রা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, উন্নয়ন কাজ শেষে বিরল স্থলবন্দরের সুযোগসুবিধা বহুগুনে বাড়বে। স্থানীয়র পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিও বেশ উপকৃত হবে।
সম্প্রতি বন্দরটির ভারত এবং বাংলাদেশ অংশ পরিদর্শন করেন ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিকুল হাসান ও ভারতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী বছরের মধ্যেই নতুন রূপে বিরল স্থলবন্দর চালু করা সম্ভব হবে।
বিরল স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন সম্পন্ন হলে রেল ও সড়কপথে বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভুটানের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে।