বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে ওজন কমানো একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। শীতে শরীরের মেটাবলিজম হার কমতে থাকে, সেই সাথে শারীরিক কার্যকলাপের পরিমাণও কমে এই সময়ে। আর শীতকালে খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণও বাড়ে। সব মিলিয়ে বাড়তে থাকে ওজন। তবে ৫টি সহজ নিয়ম মেনে চললে শীতেও ওজন কমানো সম্ভব।
কাঁপুনি:
শীতে কাঁপুনির জন্য এমন না আপনাকে অনেক সকালে গরম কাপড় ছাড়াই বের হয়ে যেতে হবে। যখন আবহাওয়া সহনীয় হবে তখনই আপনি বের হন গরম কাপড় ছাড়া। হতে পারে বিকাল বা সন্ধ্যার সময় যখন সূর্যের তাপ থাকে না।
গবেষণা মতে, শীতে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের কাঁপুনি ঘণ্টাখানেকের ব্যায়ামের সমান। শুধু তাই নয় এটি আপনার পেশী সংকোচনও করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:
শীতে আমরা বেশি খাই এই বিষয়টি একাধিকবার প্রমাণিত। ঠাণ্ডা আবহাওয়া আমাদের ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কারণ বেশি মাত্রায় ক্যালোরি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে খাওয়া-দাওয়া বেশি হবে সে বিষয়টি ঠিক আছে কিন্তু খাবার দাবার যেনো ফাইবার সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর হয়। ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ঝুঁকি কমায়। একসাথে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
গরম পানি এড়িয়ে চলুন:
শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ গরম পানি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আপনাকে স্বাভাবিক পানি খেতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরের মূল তাপমাত্রার চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পানি খেলে শরীর কঠোর পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত হয়।এতে করে ওজন কমানোর জন্য অনেক ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।
হার্বাল টি ও ব্ল্যাক কফি:
দুধ, চিনি দেওয়া চা-কফির পরিবর্তে ব্ল্যাক টি বা কফি খাওয়া শুরু করেন। হার্বাল টি, ব্ল্যাক টি বা ব্ল্যাক কফিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। প্রতিদিন এই চা-কফি পান করলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং তা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
গৃহাস্থলির কাজ করা:
শীতকালে বাইরে যেয়ে ব্যায়াম করার ইচ্ছা না হলে বাড়ির কাজগুলো নিজ হাতে করার চেষ্টা করুন। ঘর পরিষ্কার করা, মোছা, কাপড় ধোওয়া, বাগান করা ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে। বাড়িতে বা অফিসে কাজ করার সময় ৩০ মিনিট পর পর সিট থেকে উঠে হাটাহাটি করুন।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া