কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এটি শুধু সুস্বাদু নয়, শরীরের নানা উপকারেও আসে।
গ্লেনেগলস আওয়ার হাসপাতালের প্রধান ডায়েটিশিয়ান ডা. বিরালি শ্বেতা জানান, হলুদ কলার মতো লাল কলাও প্রাকৃতিক চিনি ও কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে যা দ্রুত শক্তি দেয়।
৩. হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে লাল কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে। এতে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৪. হজমে সহায়ক
ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এতে ভিটামিন সি ও বি৬ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
৬. ত্বক ও চোখের যত্নে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা-ক্যারোটিন থাকার কারণে এটি ত্বক ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সহায়ক।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কম ক্যালোরি ও বেশি ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
লাল ও হলুদ কলার পার্থক্য- পুষ্টিবিদ ট্যান্ডন জানান, হলুদ কলার তুলনায় লাল কলা ছোট ও ঘন। এতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬, ম্যাগনেশিয়াম ও বিটা-ক্যারোটিন থাকে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ১–২টি লাল কলা রাখা যেতে পারে। তবে খাবারের মাঝে খাওয়াই উত্তম, যাতে শরীর ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে।আপনার যদি কলার প্রতি অ্যালার্জি না থাকে এবং অতিরিক্ত না খান, তবে লাল কলা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর। লাল ও হলুদ—উভয় কলাই উপকারী। তবে পুষ্টিগুণ বিবেচনায় লাল কলাকে একটু এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।