পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বিলাঞ্চল চতরা বিলে চরমপন্থি ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ভোরে আতাইকুলা থানা পুলিশ ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র তৈরির কাজে নিযুক্ত ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আতাইকুলা থানার অন্তর্গত আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত চতরা বিলে সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও আতাইকুলা থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলে ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় বিলের মধ্যে লুকানো ঘাঁটি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়।
অভিযানের সময় আস্তানা থেকে অধিকাংশ সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও দুইজন আটক হয়। এরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার মনির হোসেন (৪০) ও রেজাউল ইসলাম (৪২)।
আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
আতাইকুলা থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল ময়েজ বাহিনী। বেশ কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করার পর মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আস্তানা থেকে ৮ চেম্বার বিশিষ্ট একটি রিভলবার, একটি ওয়ার শুটারগান এবং অস্ত্র তেরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অন্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।