দুই লেগেই জয় নিয়ে ইস্তাম্বুলের পথে সিমোনে ইনজাগির দল। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান। সময়ের হিসেবে যা ১৩ বছর পর।
সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতে শেষ চারের দ্বিতীয় লেগে লাওতারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে তাই ৩-০ গোলে জয় আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে ফাইনালের অপেক্ষায় তারা। যেখানে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রথম লেগে হেরে যাওয়ায় জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না এসি মিলানের। সেই লক্ষ্যেই প্রথম মিনিট থেকেই সাজিয়ে বসে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা। এমনকি পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। কিন্তু ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের বুলেট গতির শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে।
মিনিটপাঁচেক পর ফের সুযোগ তৈরী হয়। ব্রাহিম দিয়াজ প্রায় গোল করেই বসেছিলেন, তবে শেষ মুহূর্তে কোনোরকমে গোললাইন থেকে হেড করে ইন্টারকে বাঁচিয়ে দেন মাত্তেও দারমিয়ান। পরের মিনিটেই সান্দ্রো তোনালির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইন্টার গোলরক্ষক।
এদিকে ইন্টারের মনোযোগ ছিল প্রতি-আক্রমণ আর জমাট রক্ষণে। তবুও বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় তারা। ২৪তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে হেনরিখ মিখিতারিয়ানের প্রথম শট প্রতিহত হয়, ফিরতি শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। আর ৪১তম মিনিটে মার্টিমেসের বুলেট গতির শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
গোলহীন সমতায় প্রথমার্ধ শেষ হবার পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে উভয় দল। তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য বেশী এসি মিলানের। তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট, এমন সুযোগ তৈরী করতে পারেনি তারা। বরং উল্টো গোল হজম করে কঠিন করে তুলে সমীকরণ।
৭৪তম মিনিটে আসে ম্যাচের একমাত্র গোল। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। পাল্টা আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিয়ে ব্যর্থ হলেও ফিরতি বলে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বিশ্বকাপজয়ী লাওতারো মার্টিনেজ। এসি মিলানের আশাও তাই ওখানেই শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এই মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে চারবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল ইন্টার মিলান। এর আগে এমন সৌভাগ্য আরো একবার হয়েছিল ইন্টারের, ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে।