জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশের অনুরোধ পর্যালোচনা করেছে ভারত। বুধবার (২৬ নভেম্বর) করা ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশ থেকে ভারত কোনো অনুরোধ পেয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সে অনুরোধ পেয়েছি এবং অনুরোধটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এ বিষয়ে গঠনমূলকভাবে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব।’
এদিকে, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে দুই দফায় চিঠি দিলেও ভারত কোনো উত্তর দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
কোন প্রক্রিয়ায় ভারতে নতুন করে চিঠি পাঠানো হয়েছে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নোট ভারবাল আমাদের মিশনের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো উত্তর এখনো আসেনি। এত তাড়াতাড়ি উত্তর আশাও করি না আমরা।’
অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ৪৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে মামলার আসামিদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাদের স্বশরীরে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে আপিল করতে হবে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।