ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তৃতীয় দফায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা।
আজ রবিবার সকাল থেকে শুধু হওয়া এই অবরোধে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দারাও অংশ নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকালে ভাঙ্গার পুকুরিয়া ও সোয়াদিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কের ওপর গাছ, বাঁশ ও ইট ফেলে অবরোধ করেন কয়েক হাজার স্থানীয় জনতা। এতে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নকশীকাঁথা রেলগাড়ীটি পুকুরিয়া নামক স্থানে আটকে দিয়েছে অবরোধকারীরা।
বিক্ষোভকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে পুকুরিয়া, সোয়াদি ও মনসুরাবাদে মহাসড়কের ওপর গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে হাজারো মানুষ। ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার পরিবর্তে ভাঙা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৫ আসন পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ সময় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ অবরোধ চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাধারণ জনগণের ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে মহাসড়কে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ও বাইরে থেকে আসা সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের প্রায় হাজার খানেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলরত থাকবে। কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, আজ মহাসড়ক ও রেলপথে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব রকমের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, ভাঙ্গায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে বাইরে থেকে অসংখ্য সেনাবাহিনী র্যাব, পুলিশসহ এবিসি তিনটি কামান ও একটি জল কামান আনা হয়েছে।