যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ার ওপর তিনি কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত। তবে এর শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন- সব ন্যাটো মিত্র দেশকে একযোগে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে এবং নিজেদের পক্ষ থেকেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
ট্রাম্পের মতে, এমন পদক্ষেপই কেবল মস্কোকে ইউক্রেনে চলমান তিন বছরেরও বেশি সময়ের যুদ্ধ থামাতে কার্যকর চাপ তৈরি করতে পারে।
শনিবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন, যেটিকে তিনি ন্যাটো ভুক্ত সব দেশ ও বিশ্বের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি হিসেবে বর্ণনা করেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত, তবে তখনই যখন সব ন্যাটো দেশ এতে সম্মত হবে এবং একই পদক্ষেপ নেবে। সেই সঙ্গে সব ন্যাটো দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব করেছেন, ন্যাটো সম্মিলিতভাবে চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করুক, যাতে রাশিয়ার ওপর বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক প্রভাব দুর্বল হয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ন্যাটোর যুদ্ধজয়ের প্রতিশ্রুতি এখনো শতভাগ নয়, বরং অত্যন্ত হতাশাজনক বিষয় হলো-জোটের কয়েকটি দেশ এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে।’
তাদের উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি আপনাদের রাশিয়ার সঙ্গে দরকষাকষির অবস্থান ও প্রভাবকে ব্যাপকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে।’
ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম তেল ক্রেতা, চীন ও ভারতের পরেই। এছাড়া, ৩২ সদস্যের জোটের হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে বলে ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার’তথ্য দিয়েছে।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ন্যাটো যদি তার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে, তবে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। যদি তা না হয়, তবে আপনারা শুধু আমার সময় নষ্ট করছেন।’
যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে থাকা ট্রাম্প বারবার রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। গত মাসে তিনি রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তবে চীনের বিরুদ্ধে এখনো এ ধরনের পদক্ষেপ নেননি।