সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলাদেশের বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে শিল্পীর মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হবে। শিল্পীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এর আগে শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান লোকসংগীতের এ শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
বরেণ্য এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যেতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শোক জানিয়েছেন। এ ছাড়া সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস নিতে হতো তাকে। শেষবারের মতো ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন এই শিল্পী।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন। ১৯৬৮ সালে ১৪ বছর বয়সে তার পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। এরপর গানে গানে তিনি কাটিয়েছেন ৫৫ বছর।
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ কিংবা ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ এর মতো লালন সাঁইয়ের জনপ্রিয় গান তার কন্ঠে মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। শ্রোতারা ভালোবাসে তাকে ‘লালনকন্যা’ উপাধি দিয়েছিলেন।