জুলাই অভ্যুত্থানকালে হত্যা, নির্যাতনসহ যত অপরাধ হয়েছে, এ সমস্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বা নিউক্লিয়াস ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনকালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
আজ রবিবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শুরু হয়।
আদালতে প্রথমে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখা। তিনি ছিলেন এই সমস্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বা নিউক্লিয়াস। অন্যান্য আসামিরা তার অধীনে থেকে বুঝতেন যে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার ওপরই তাদের নিরাপত্তা ও পুরস্কার নির্ভর করছে।’
তাজুল ইসলাম জানান, আজকের মামলাটির গত বছরের ১৬ আগস্ট তদন্ত শুরু হয়। ১২ মে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ১ জুন অপরাধ আমলে গ্রহণ করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয় ১০ জুলাই। আজকে মামলাটি সূচনা বক্তব্যের জন্য রয়েছে। সেটি উপস্থাপন করছি।
এ সময় তিনি আদালতে বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে অপরাধের প্রমাণ এতটাই স্পষ্ট ও শক্তিশালী যে বিচারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ থাকবে না।’
এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ প্রসিকিউশনের সদস্য ও তদন্ত সংস্থার সদস্যরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।