রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন বেশি দগ্ধ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি।
এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। জানা গেছে, ভবনটির নাম ‘হায়দার হল’।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খান বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে দিয়াবাড়িতে এ বিমান বিধ্বস্ত হয়। মাইলস্টোন কলেজের ক্যান্টিনের ছাদে গিয়ে বিমানটি পড়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে জেনেছেন। সেখানে ৮টি ইউনিট কাজ করছে।
এদিকে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে আহতদের মূলত তিনটি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কোনো শিক্ষার্থী নিখোঁজ থাকলে এ তিনটি হাসপাতালে খোঁজ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
হাসপাতাল তিনটি হলো- কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক)।