গৌরনদীর মাটিতে এক আবেগঘন মুহূর্ত: খুদে শিল্পীর গানে মুগ্ধ হয়ে আশীর্বাদ দিলেন জাতীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক ও জাতীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে ঢাকার পথে রওনা দেওয়ার সময় হঠাৎই জানতে পারেন গৌরনদী উপজেলা অডিটোরিয়ামে ’৯৫ ব্যাচের মিলনমেলা চলছে।
গাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকলেও এলাকাবাসীর প্রতি ভালবাসা ও হৃদ্যতা থেকে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের। নেতা হয়েও তিনি ছিলেন সবার মাঝে একজন আপনজন, হৃদয়ের কাছাকাছি।

অডিটোরিয়ামের পরিবেশ তখন মুখরিত, প্রাণবন্ত। বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ একত্র হয়েছে স্মৃতিচারণ আর আনন্দ ভাগাভাগি করতে। এমনই এক মুহূর্তে মঞ্চে উঠে আসে একটি খুদে শিল্পী— ছোট্ট একটি মেয়ে, যার চোখে ছিল স্বপ্নের দীপ্তি আর কণ্ঠে ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়া সুর। সে যখন গান গায়, সবার

মাঝে যেন থমকে যায় সময়। এবং সেই গানে মোহিত হয়ে যান স্বপন সাহেবও।
গান শেষে মেয়েটি লজ্জা ও শ্রদ্ধাভরে বলে ওঠে,
“স্যার, আমি আপনাকে সামনে থেকে দেখতে চাই। আপনার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে চাই। আপনি যদি আমাকে আশীর্বাদ করেন, আমি জানি আমি আরও এগিয়ে যেতে পারব।”
সেদিনের অডিটোরিয়ামে উপস্থিত শত শত মানুষের হৃদয় তখন স্পন্দিত হচ্ছিল এক অজানা আবেগে। ছোট্ট মেয়েটি বলে যায়,
“আমার বাবা সবসময় আপনার কথা বলেন। আপনি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা নন, আপনি একজন আদর্শ, একজন পথপ্রদর্শক। আজ আপনাকে সামনে দেখে আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত পূর্ণ হলো।”
এই নির্ভেজাল ভালোবাসা, এই নিঃস্বার্থ শ্রদ্ধা একজন রাজনীতিকের প্রকৃত অর্জন। জহির উদ্দিন স্বপন মাথায় হাত তুলে মেয়েটিকে আশীর্বাদ করেন, এবং বলেন,
“তোমাদের মতো নতুন প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। তুমি এগিয়ে চলো, আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।”
সেদিন কেবল একটি মিলনমেলা হয়নি— এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি রচিত হয়েছিল গৌরনদীর আকাশে বাতাসে।
সেখানে রাজনীতির ভাষা ছিল না, ছিল কেবল মানুষের ভাষা— হৃদয়ের ভাষা। এবং সেই হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন একজন সত্যিকারের জাতীয় নেতা— জহির উদ্দিন স্বপন।
এ জাতীয় আরো খবর..