নেপালজুড়ে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তার সচিব খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ওলির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ সুগম করতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
রাজধানী কাঠমান্ডু ও সারা নেপালে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ওলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনসহ একাধিক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হয়।
সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানান, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে দু’জন নিহত হয়েছে এবং বর্তমানে ৯০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অনিয়ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের অভিযোগে সরকার পতনের দাবিতে সোমবার থেকে কাঠমান্ডুসহ নেপালের সব বড় শহরে জেন-জি প্রজন্ম বিক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। সোমবার তারা নেপাল পার্লামেন্ট হাউজে প্রবেশ করে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে পুলিশ গুলি করে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশের গুলির আঘাতে প্রথম দিনে ১৯জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়।
বিক্ষোভ দমাতে সোমবার রাতে পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।মঙ্গলবার সকালে পদ ছাড়েন দেশটির কৃষি মন্ত্রী। তাতেও লাভ হয়নি। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-সমাজের একটাই দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিসহ পুরো মন্ত্রী পরিষদকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।