৭১ টিভিকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
গতকাল শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ ক্ষমা চান।
‘ক্ষমা প্রার্থনা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘৭১ টিভিকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এই বার্তাটি অনেক দেশপ্রেমিক মানুষের মনে আঘাত দিয়েছে-যা কখনোই আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমি তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের অনুভূতির প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান রয়েছে এবং আমি জনগণের সংগ্রামের প্রতি আমার অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
পুনশ্চ:
গত ১৫ বছরে যেসব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের জন্য সম্মতি তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে, একাত্তর টিভি তাদের অন্যতম। তারা যখন আমার কাছে শুভেচ্ছা চাইলেন, আমি মূলত দুইটি কথা বলেছি।
প্রথমত, আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি সেই একাত্তর টিভির সাংবাদিক ভাইবোনদের, যারা জুলাই আন্দোলনের সময় আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। তারা সেই কঠিন সময়ে হাউজের বিপরীতে গিয়ে আমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।
দ্বিতীয়ত, আমি আহ্বান জানিয়েছি আগামী দিনে একাত্তর টিভি যেন আগের মতো প্রোপাগান্ডার জায়গা না হয়ে, সত্য ও জনগণের পক্ষে সাংবাদিকতা করে। দেশের পাশে দাঁড়াক।
আমার এই বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেটুকু দেখে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, যা আমি বুঝতে পারছি। আমি তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
একই সঙ্গে আমি অনুরোধ করব খণ্ডিত বক্তব্য প্রচারের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেই অসৎ চর্চা থেকে সবাই যেন বেরিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জুলাই অভ্যুত্থানে ৭১ টিভির ভূমিকা সম্পর্কে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘৭১ টিভির অনেক সিনিয়র সাংবাদিক জুলাইয়ে আমাদের সঙ্গে একীভূত হয়েছিল।’
এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।তিনি ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাসীরুদ্দীনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে অনেকেই স্ট্যাটাস দেন। এই পরিস্থিতিতে তীব্র সমালোচনার মুখে একপর্যায়ে দেশবাসীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।