মঙ্গলবার, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
জুলাই শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা জুলাই ঘোষণাপত্রে যা আছে কক্সবাজারে সারজিস-হাসনাতরা, হোটেল ঘিরে রেখেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই দেশ-জাতির কল্যাণে কাজ করবে বিএনপি’ জাতির মুক্তির জন্য একটাই কাজ, পলাতক শেখ হাসিনা এবং সমস্ত খুনিদেরকে বিচার করা আর অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা-জহির উদ্দিন স্বপন নির্বাচনের তপশিল চূড়ান্ত করতে ইসিকে চিঠি দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা জমে উঠেছে ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপন, গানে গানে মাতছেন হাজারো ছাত্র-জনতা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গ্যাস বেলুন থেকে আগুন, কয়েকজন আহত গাজায় আরও একটি ভয়াবহ দিন, নিহত ৯৪ রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

গৌরনদীর মৌরি ক্লিনিকে কিশোরীর অপারেশন স্থগিত

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ৫২ বার পঠিত

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মৌরি ক্লিনিকে দায়িত্বে অবহেলায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রোগীর জরুরি অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্তে¡ও স্বজনদের থেকে নির্ধারিত ১০ হাজার টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসা না দিয়েই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ২৬ জুন রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ক্লিনিক মালিক মাহমুদ হোসেন মুহিত শরীফকে ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং জরিমানার অর্থ পরিশোধ করায় তাকে সতর্ক করে মুক্তি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার উপজেলার সুন্দরদী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের মেয়ে। ফাতেমার পরিবার জানায়, সোমবার ২৩ জুন হঠাৎ পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে ফাতেমাকে মৌরি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস শনাক্ত করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে অপারেশনের পূর্বে রোগীর পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

ফাতেমার মা রাজিয়া বেগম অভিযোগ করেন, আমরা একটু টাকা ছাড় দিয়ে অপারেশনটা করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। মেয়েকে অপারেশন ছাড়াই বরিশাল মেডিকেল পাঠিয়ে দেয়।

ফাতেমার বাবা আব্দুর রাজ্জাক কান্নার স্বরে বলেন, আমার মেয়ে খুব কষ্ট পাচ্ছিল। আমরা টাকা জোগাড়েও চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তারা টাকা কমানেরা কথা শুনে কোন সময় না দিয়েই আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক মাহমুদ হোসেন মুহিত শরীফ বলেন, ‘স্টাফদের একটি ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি এবং ক্লিনিকের সকল কর্মীকে সতর্ক করেছি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন বলেন, রোগীর জীবন নিয়ে কোনো ধরনের অবহেলা কিংবা বাণিজ্যিক আচরণ বরদাশত করা হবে না। জনস্বার্থে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com