আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বড় পরিসরে দলের বর্ধিতসভার মধ্য দিয়ে বিপুল কলেবরে সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচিতে বড় বড় বেশকিছু প্রশ্নের সমাধান হাইকমান্ডের কাছে ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের মতামতে এর প্রতিফলন পাওয়া যায়নি। সভায় বিএনপির তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে যে ধরনের গঠনমূলক প্রস্তাব, আলোচনা-সমালোচনা আশা করা হয়েছিল, তা পূর্ণ হয়নি। কেন্দ্রের প্রত্যাশা ছিল, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের একটি সুস্পষ্ট চিত্রও উঠে আসবে। কিন্তু সংসদীয় এলাকার প্রকৃত চিত্র কেন্দ্রের কাছে সেভাবে স্পষ্ট হয়নি। বরং তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের তুষ্ট করার প্রয়াস ছিল স্পষ্ট। বর্ধিতসভার প্রাপ্তি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই বর্ধিতসভাটি রাত সাড়ে ১১টায় শেষ হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মূলত এই বর্ধিতসভা করেছে দলটি। এই বর্ধিতসভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়ন ইচ্ছুক প্রার্থীরা এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ মিলে প্রায় চার হাজার নেতা অংশ নেন। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এত বৃহৎ পরিসরে নেতার উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজে বড় মিলনমেলায় পরিণত হয় এ সভা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে এই বর্ধিতসভা ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
বর্ধিতসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অসুস্থতার মধ্যে দীর্ঘদিন পর বেগম জিয়াকে পেয়ে নেতারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা বলছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের এই উপস্থিতিই ছিল সভার প্রধান আকর্ষণ।
বর্ধিতসভার গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় কর্মঅধিবেশনে তৃণমূলের ১০৫ জন নেতা বক্তব্য দেন। অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের কর্মসূচিতে জেলা, উপজেলা ও থানার নেতারা গঠনমূলক সমালোচনা করতেন; অভিজ্ঞতার আলোকে সাহসী কথা বলতেন। কিন্তু এবার সেটা দেখা যায়নি। অর্থাৎ তৃণমূল নেতাদের নানান গঠনমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বর্ধিতসভার যে আমেজ তৈরি হয়, সেটা হয়নি। নেতাদের উপস্থিতি এবং আয়োজনের দিক থেকে সবার প্রশংসা কেড়েছে এই বর্ধিতসভা। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির এই বর্ধিতসভার দিকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোরও দৃষ্টি ছিল।
বিএনপি নেতারা বলছেন, বর্ধিতসভায় সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দু-তিনজন গঠনমূলক বক্তব্য রেখেছেন। সমাপনীতে তারেক রহমানের বক্তব্যে ছিল দলের সব পর্যায়ের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা। তিনি নেতাদের জনগণের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আপনারা (তৃণমূল) আমার ভরসা। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, মানুষকে সংগঠিত করবেন, সর্বোপরি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। জনগণের আস্থা একবার হারিয়ে গেলে যে কী হয়, সেটা গত ৫ আগস্ট আপনারা দেখেছেন। তাই জন-আস্থা তৈরিতে আপনারা মানুষের কাছে যান, তাদের পাশে থাকুন। এর মধ্য দিয়ে দলের ইমেজ বৃদ্ধি করবেন। তিনি এও বলেন, দলের ভেতরে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, তাদের অপকর্মের দায় দল নেবে না। তাদের কোনো সুযোগ না দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে নানান কথা বলছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের রাজনৈতিকভাবে কীভাবে মোকাবিলা করবেন, এলাকায় গিয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সেটা ঠিক করুন।
এদিকে গতকাল শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের বর্ধিতসভার প্রস্তাবলি ও সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, জনআকাক্সক্ষা পূরণের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বর্ধিতসভায় দল এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে জনবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মাঝে সক্রিয় হওয়ার এবং কথা ও কাজে জনগণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জনের নির্দেশ দিচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলীয় নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি বাস্তবায়নে অবহেলা এবং দুর্নীতি-অনাচারসহ গণবিরোধী সব কর্মকা- ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকার জন্যও সবাইকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করছে।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ঘোষিত- ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ এই আদর্শকে ধারণ করে এই সভা ‘ঐক্যেই শক্তি-ঐক্যেই মুক্তি’ এই আপ্তবাক্যকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দলের সৎ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে বিজয়ের পথে এগিয়ে চলার দূঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে।
২০১৫ সালে বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ভিশন ২০৩০ এবং যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থনে গৃহীত ২০২৩ সালে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার আলোকে রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল দল বা সংগঠনের সঙ্গে মিলে অব্যাহতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঐকমত্যে গৃহীত যেসব সংস্কার প্রস্তাব নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন সম্ভব তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং যেসব সংস্কারের জন্য আইন কিংবা সংবিধান পরিবর্তন প্রয়োজন, তা নির্বাচিত জাতীয় সংসদে অনুমোদনের লক্ষ্যে পেশ করার জন্য বিএনপি বর্ধিত প্রস্তাব করছে।’
‘সর্বাগ্রে সংসদ নির্বাচনের দাবি’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ধিত সভা মনে করে- একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমেই শুধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে থাকে। এই মৌলিক অধিকার থেকে এ দেশের জনগণকে প্রায় দেড় যুগ বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ফলে এই বঞ্চনার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার কোনো অজুহাত তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
সভা থেকে দাবি করে বলা হয়, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যথাশীঘ্র সম্ভব সর্বাগ্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি’
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অযৌক্তিক ঊর্ধ্বগতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমবর্ধমান অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য অন্তর্বর্র্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল এবং শ্রেণি-পেশার সংগঠনকে আস্থায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে পতিত সরকারের সৃষ্ট ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের পাশাপাশি অযৌক্তিক কারণে আন্দোলনের নামে জনজীবন বিপর্যস্ত করার অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও বিশৃঙ্খলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
‘সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি’
গণবিরোধী ও মানবতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীরা কীভাবে নির্বিঘেœ দেশ থেকে পালিয়ে গেল এবং এখনও অসংখ্য অপরাধী অবাধে বিচরণ করছে কীভাবে, এর একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বিএনপির বর্ধিতসভা সরকারের কাছে দাবি করছে। এই সকল অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদানে বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, বিদেশে অবস্থান করে যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও শান্তি-শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের এবং তাদের দেশীয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কূটনৈতিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে এই সভা পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার এবং তাদের সহযোগী এক-এগারোর সরকারের দায়ের করা সকল মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
‘বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার অঙ্গীকার’
বর্ধিত সভায় ঐক্যবদ্ধ বিএনপি ও অঙ্গ দল, সহযোগী সংগঠনসমূহকে আরও ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী, কার্যকর ও জনপ্রিয় করার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক অধিকারহীন, অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত ও মানবিকভাবে অবহেলিত জনগণকে তাদের কাক্সিক্ষত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রধান দায়িত্ব দেশের সবচেয়ে বড়, নির্ভরযোগ্য এবং অতীতে বারবার গণতন্ত্র পুনপ্রর্তিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রদানকারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের।
‘তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা’
বর্ধিত সভায় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী এই গণ-অভ্যুত্থানের ভিত্তি স্থাপন ও শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিজয়ী করার লড়াইয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কৌশলী, সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রশংসা অর্জন করেছে। দলের দুঃসময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে দলের কার্যক্রমকে শক্তিশালী, দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত করা, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং সর্বোপরি ফ্যাসিবাদ পতনে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সহায়তার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি মানবিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বর্ধিত সভায় দীর্ঘ ১৬ বছরের অবিরাম আন্দোলন এবং তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহত, পঙ্গু, দৃষ্টিহীন ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে সকল প্রকৃত শহীদের তালিকা প্রণয়ন, তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
লন্ডনে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্যে দেশবাসীসহ দলের সর্ব স্তরের নেতাকর্মীর কাছে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়।