শরীয়তপুরে ডাকাতের এলোপাতাড়ি ছোঁড়া গুলিতে ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ২ ডাকাত গনপিটুনিতে নিহত হন। পিটুনিতে আরও পাঁচ ডাকাত আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ মার্চ) ভোর রাতে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারহাট এলাকায় এক দল ডাকাত প্রবেশ করে ডাকাতির চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাত দলকে ধাওয়া দিলে এলোপাতারি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে কীর্তিনাশা নদী পথ ধরে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় মাদারীপুরের সাতজন ও শরীয়তপুরের দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
মাদারীপুরের আহতদের মধ্যে পাঁচজন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এবং দুইজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর শরীয়তপুরে আহত দুইজনের মধ্যে একজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুই বাল্কহেডের শ্রমিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুনতাসির খান বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। এরপর রাত ১২টার পরে গণপিটুনিতে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাত ১টার পর আরও দুজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে তাদের দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।’
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মাদারীপুরের কালকিনি থেকে কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালানোর সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন বাল্কহেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে তাদের গণপিটুনি দেন। বিষয়টি জানার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত ডাকাতদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়। আমরা একটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছি।’