ইউক্রেনের জনাকীর্ণ একটি শপিংমলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জি-৭ নেতারা।
সোমবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা এ নিন্দা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিচার দাবি করেন। খবর আনাদোলুর।
ইউক্রেনের পোলটাভা অঞ্চলের ক্রেমেনচুকে ওই শপিংমলে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া আরও অর্ধশতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ সময় শপিংমলটিতে এক হাজারেরও বেশি ক্রেতা ছিলেন।
সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অ্যামস্টোর নামে ওই শপিংমলে একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
হামলার পর শপিংমলে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে দমকলবাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকের জনাকীর্ণ ওই শপিংমলে হামলার সময় ভেতরে এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল।
ঘটনাস্থলে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের ধারণা, এটি একটি গাইডেড মিসাইল বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। শপিংমলে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
আক্রান্ত শপিংমলটি রুশনিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে প্রায় ৮১ মাইল দূরে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিচ বেসামরিক স্থাপনার ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পোলটাভা অঞ্চলের প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা দিমিত্রো লুনিন এ আক্রমণকে যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন।
মধ্য ইউক্রেনে দনিপার নদীর তীরের শিল্পকারখানা সমৃদ্ধ এ শহরে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার লোক বাস করেন। এর আগেও শহরটির তেল শোধনাগার ও অন্যান্য স্থাপনার ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনো অব্যাহত। এ মুহুর্তে দোনবাসে চলছে তুমুল লড়াই। এর মধ্যেই এমন খবর দেশটির জনগণের মধ্যে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে।
অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দূরপাল্লার অস্ত্র চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। জানা যায়, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দূরপাল্লার ৩০০টি রকেট সিস্টেম চেয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনকে চারটি হিমারস রকেট লঞ্চার দেওয়ার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।