রবিবার, ০৯:০৪ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বান্দরবানে ডাকাতির পর নিরাপত্তা বাড়ানো হলো খাগড়াছড়ির ব্যাংকগুলোতে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৪ বার পঠিত

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে দুটি ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতির পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে খাগড়াছড়ির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীও।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সমীর কান্তি চাকমা বলেন, বান্দরবানের ঘটনার পর ব্যাংকের ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।

ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক সারোয়ার আলী খান বলেন, সকাল ৭টায় আমাদের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেহেতু জেলা শহরে আছি তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন শঙ্কা করছি না। কিন্তু সতর্ক আছি। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আজ থেকে দুজন গানম্যান দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আমরা সবাইকে ম্যাসেজ দিয়েছি, তারা যেন সতর্ক থাকে।

যতটুকু নিরাপত্তা দরকার ততটুকু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. নুরুউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে একাধিকবার পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। সরকারিভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে সংকট নেই। এছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, অলরেডি বিভিন্ন  ব্যাংকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা  বাড়ানো হয়েছে। আজ বিকালে কোর কমিটির মিটিংয়েও ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে।

মঙ্গলবার (২রা এপ্রিল) রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন।

এই ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, বুধবার বেলা ১টার পর থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি লুট হয়েছে। কৃষি ব্যাংক থেকে লুট হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com