কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় টেকনাফের লেদা পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ১২টার দিকে লেদা ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পেছনের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে এই পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছিল একদল দুর্বৃত্ত। পরে অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো ওসমান গনি জানান, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ও র্যাব অভিযান শুরু করে। শনিবার দিনভর পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে টেকনাফের লেদা ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহীন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। রাত ১২টার দিকে ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পেছনের পাহাড়ি এলাকায় অপহরণকারীদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অভিযানের মুখে চার কৃষককে ফেলে অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত ঝুপড়ি ঘর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে।
উদ্ধাররা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শামীম ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান।
আটক রয়েছেন একই এলাকার আব্দু রকিমের ছেলে মোহাম্মদ নুর। পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ নুরকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি ওসমান গনি।
গত বৃহস্পতিবার সকালে হ্নীলা এলাকায় ফসলি খেত পাহারা দেয়ার সময় পাহাড় থেকে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত এসে অস্ত্রের মুখে পাঁচজনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মোবাইলে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। স্বজনদের অভিযোগ স্থানীয় ডাকাত চক্রের সাথে মিলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এই অপহরণে জড়িত বলে তাদের ধারণা।