পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বজুড়েই সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতাসহ অনেক রকম ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রেও তাঁদের নানাবিধ সমস্যা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এসব ঝুঁকি উত্তরণে বিমা বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আর্টিকেল-নাইনটিন ও ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড যৌথভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে বিমা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল বিষয় নিয়ে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন একোস অ্যালিয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক এলিজাবেথ ক্যান্টেনিস। আলোচনা করেন ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি সমন্বয়কারী হ্যান্স নিউয়েনহুইজ। সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সল, সঞ্চালনা করে জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি কর্মকর্তা রুমকি ফারহানা।
আলোচকেরা বলেন, সাংবাদিকেরা বিভিন্ন সময় সহিংসতা, নির্যাতন, হয়রানি বা দুর্ঘটনার শিকারে পরিণত হন। এতে তাঁরা সাময়িক বা দীর্ঘ সময়ের জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। অনেক সময় তাঁদের চাকরিচ্যুতি ঘটে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রেও অনেক রকমের সমস্যা থাকে। এসব মিলিয়েই সাংবাদিকেরা শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ঝুঁকিতে থাকেন। তাঁদের এসব ঝুঁকিতে একটা আর্থিক নিরাপত্তা দিতে বিমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ কারণে সাংবাদিকদের জন্য বিমার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এই বিমা ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
পরে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। এখানে পরিবেশ বিমাবান্ধব নয়। অনেক সময় দেখা যায়, গ্রাহকেরা নিয়মিত বিমার প্রিমিয়াম জমা দিলেও বিমার টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চাকরির স্থায়িত্ব, নিয়মিত বেতন-ভাতা, চাকরি শেষে আইনানুগ পাওনা প্রাপ্তির বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা বিধান করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।
তবে বক্তারা সাংবাদিকদের সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিমার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশের সৃষ্টি করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।