আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়াও মাঠে থাকবে নৌবাহিনী, বিজিবি, র্যাবের সদস্যরাও।
আজ সোমবার সকালে কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পুলিশ সদস্যদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে। ভোট যেন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হয় সেজন্য সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা থাকবে।’
এ সময়, রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তি যেন আইনের আওতায় না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকার লোভে অনেকের নামে জুলাই আগস্টের মামলা হয়েছে। কোন নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত জুলাইয়ের থেকে এই জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। থানায় কেউ আসতো না। আনসার বাহিনী বিদ্রোহ করছিল, অন্যান্য বাহিনীগুলোও অতোটা সক্রিয় ছিল না। এখনও হয়তো আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারিনি। তবে পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে আমাদের নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল এমন খবর পাওয়া যায়নি।’
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে আমরা কতটুকু আশ্বস্ত হতে পারি’- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘শেনেন, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলে দিয়েছেন, তাহলে আপনারা কার কথায় আশ্বস্ত হবেন। প্রধান উপদেষ্টার চেয়ে বড় কথা আর কে বলতে পারবে। উনার চেয়ে আর বড় কথা কে বলতে পারবে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কাজ চলমান। আমরা একটি সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। সাংবাদিক হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আমাদের খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নতুন ভোটারদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। নতুন ভোটারদের জন্য আলাদা বুথের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও মহিলা পুরুষদের আলাদা করে বুথ করা হবে।’