আপনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়তা করবে ‘ক্লিন ইটিং।’ এটি একটি ডায়েট পরিকল্পনা। ক্র্যাশ ডায়েট করে দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ে শরীরে। সে তুলনায় ক্লিন ইটিং একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া।
‘ক্লিন ইটিং’ কী?
যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই হচ্ছে ক্লিন ইটিং। যতটুকু সম্ভব কম প্রক্রিয়াজাত করা, কম মসলার ব্যবহার এমন খাবার খাওয়াকেই বলে ক্লিন ইটিং। গোটা ফল, খুব সামান্য তেল মসলায় ভাপানো শাক সবজি, মাছ, ডিম, বাদাম, একদম চর্বি ছাড়া মাংস ইত্যাদি হচ্ছে ক্লিন ইটিং এর উদাহরণ।
ক্লিন ইটিং শুরু করতে চাইলে কিছু টিপস
ক্লিন ইটিংয়ের ক্ষেত্রে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যা তাদের প্রাকৃতিক ফর্মের কাছাকাছি। বক্স করা বা প্যাকেটজাত খাবারের পরিবর্তে তাজা, খাবার বেছে নিন। ফলের রস দিয়ে তৈরি স্ন্যাকসের পরিবর্তে আস্ত ফল খান। উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে যান যতটুকু সম্ভব। কারণ এগুলোতে প্রচুর ক্যালোরি, চিনি, লবণ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
সাদা রুটি, পাস্তা এবং ভাতের মতো পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় পুষ্টি হারায়। গমের রুটি, পাস্তা এবং বাদামী চাল খান। অন্যান্য গোটা শস্য যেমন ওটমিল, পপকর্ন, বার্লি বেছে নিতে পারেন। গোটা শস্যযুক্ত খাদ্য আপনার হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
তাজা ফল ও সবজি খান। প্রয়োজনীয় ক্যালোরি এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে নয়টি ফল এবং শাকসবজি খান।
কৃত্রিম রঙ, মিষ্টি, প্রিজারভেটিভ এবং অন্যান্য মনুষ্যসৃষ্ট উপাদান আছে এমন খাবার খাবেন না ।
কোমল পানীয় এবং জুসের পরিবর্তে কম-ক্যালোরিযুক্ত পানীয় পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। সঙ্গে পান করতে পারেন ভেষজ চা।
অরগানিক খাবার বেছে নেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকুন।
ক্লিন ইটিংয়ের কিছু উপকারিতা
আপনাকে দুর্বল না করেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে ত্বক ও চুল থাকবে উজ্জ্বল।
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।
ধীরে ধীরে শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।
এনার্জি বাড়বে কাজের ও ঝরঝরে থাকবে শরীর।
তথ্য: ওয়েবএমডি