পারস্পরিক সহযোগিতা, সহনশীলতা ও যোগ্যতাকে একপাশে রেখে অন্যের চরিত্রহরণ বা নিচু দেখানোর মাধ্যমে আমরা জিততে চাই। কারন আমাদের জিততেই হবে, কারন আমরা প্রতিযোগিতা ভয় পাই, কারন আমাদের আত্মবিশ্বাস নাই, কারন আমাদের ধৈর্য নাই, কারন আমাদের বিশ্বাস নাই, কারন আমরা কাজে নয় পদে বিশ্বাসী, কারন আমরা যোগ্যতার কদর করি না, কারন আমরা তোষামদি পছন্দ করি।
সিনেমা হলের জাতীয় সংগীত ছাড়া আমাদের মধ্যে আর কোন জাতীয়তা বোধ আছে বলে মনে হয়না, মনে হবেই বা কেন? এখন আর অন্য দেশকে শোষণ করতে হয় না। আমরাই আমাদের নিজেদেরকে শোষণ করে অন্য দেশকে সমৃদ্ধ করতে ব্যস্ত।
কেনই বা করবো না! ছোটবেলা থেকেই তো দেখে আসছি কিভাবে নিজেদের মানুষকে ঠকাতে হয় গরিব মানুষকে শোষণ করতে হয় এবং ছোটবেলা থেকে জানানো হয় টাকা থাকলে সবকিছুই তোমার পকেটে থাকবে যেখানে শিক্ষার উদ্দেশ্য টাকা অর্জন! সৎ বা যোগ্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা না। কবে হবে এই অবস্থার পরিবর্তন?
জানিনা, তবে খুব সহসা না তা বলতে পারি, যেখানে শিক্ষিত ব্যক্তিরা আজ অশিক্ষিত টাকাওয়ালা শ্রেণীর কাছে পিষ্ঠ, নিগৃহীত, নির্যাতিত ও অপমানিত তাই তারা আজ কথা বলে না। শিক্ষিত মানুষের বুদ্ধিদীপ্ত কথা অজ সমাজ থেকে প্রায় হারিয়েই গেছে! হয়তোবা কোন এক সময় ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বের মতো প্রাকৃতিক বা সামাজিক উপায়ে কোনভাবে একটি বিপ্লবের মাধ্যমে আবার পরিবর্তন ঘটবে এবং যেখানে মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার দেওয়া বিবেক ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাবে।
এবং আমরা আমাদের সন্তানদেরকে ফার্স্ট হওয়ার জন্য পড়তে না বলে জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়তে বলব। কাউকে ছোট করা বা কারো উদ্দেশ্য নয় আমার দৃষ্টিতে বর্তমান সামাজিক অবস্থা তুলে ধরার সামান্য চেষ্টা।