হাওড়ের মিঠাপানির নানান পদের মাছ ও রসমালাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের আপ্যায়ন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দৃষ্টিনন্দন পৈতৃক নিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন। এ মধ্যাহ্নভোজটিকেও রাজসিক রূপ দিতে মিঠাপানির ১৫ প্রজাতির মাছসহ ছিল নানা ধরনের আয়োজন।
এদিন সকালে মিঠামইনে এসে প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা একটার দিকে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে যান তিনি। নিজের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস যুগান্তরকে জানান, রাষ্ট্রপতির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে রাতাবোরো চালের সাদা ভাতের সঙ্গে দেওয়া হয় ১৫ পদের মাছ।
রুই ও কাতল মাছের দোপেঁয়াজা, চিতল মাছের দোপেঁয়াজা, আইড় মাছের দোপেঁয়াজা, পাবদা মাছের দোপেঁয়াজা, গোলশা-ট্যাংরা মাছের দোপেঁয়াজা, কালিবাউশ মাছের দোপেঁয়াজা, শোল মাছ ভুনা, বাইন মাছ ভুনা, চিংড়ি মাছ ভুনা, বোয়াল মাছ ভুনা, গ্রাস কার্প মাছ ভুনা, বাচা মাছ ভুনা, রিঠা ও পাঙাশ মাছের মাখা মাখা ঝোল এবং মসুর ডাল, সালাদ, রসমালাই দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আপ্যায়ন করেন রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবার।
খাবার শেষে মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় তিনি জনসভায় যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মিঠামইন আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে হাওরের প্রতিটি প্রবেশপথ ও পয়েন্ট। সাজানো হয়েছে সরকারের হাওরে বিভিন্ন উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের ছবির মাধ্যমে।
এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত হাওড়বাসীকে দেখতে মিঠামইনে এসেছিলেন। দেখেছিলেন তদানীন্তন দুখী ভাটিকন্যা এ হাওড় জনপদের মধ্যযুগীয় ও পশ্চাৎপদ জীবনচিত্র।