মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, আসন্ন রমজানে কোনোভাবেই বাড়বে না মাছ-মাংসের দাম। রমজানের সময় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করবে সরকার। আজ শনিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।
রেজাউল করিম বলেন, ‘রমজানের সময় আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করব। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি খামারিদের সহায়তা নেব। আশা করি রমজানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না।’
মাছ-মাংসের বাড়তি দাম বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। পোলট্রি ফিডের উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে অনেক প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসবের কারণে খাবারের দাম অনেক বেড়েছে।’
রমজানে মাছ-মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘মাছ-মাংসের দাম যেভাবে সহনশীলতার মধ্যে রাখা যায়, সেই প্রক্রিয়ায় আমরা রয়েছি। রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি দাম নির্ধারণ করে দেব। বাজারব্যবস্থাকে আরও সংহত পর্যবেক্ষণ করা হলে দাম অনেকটা কমে আসবে।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘মানুষের খাবারের অন্যতম উপাদান মাছ, মাংস, দুধ, ডিম। এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে যতটা সহযোগিতা করা দরকার, পৃষ্ঠপোষকতা করা প্রয়োজন, তা আমরা করছি। ফলে উৎপাদন অনেক বেড়েছে।’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রসংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ডিম, মাছ, মাংস দুধের দামও বাড়তি। টিসিবির তালিকা অনুসারে গতকাল রাজধানীতে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০৫ থেকে ২২০ টাকা। গরুর মাংসের দাম ৭০০ থেকে ৭৩০ টাকা। আর খাসির মাংসের দাম ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, যা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। অপরদিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত গুঁড়ো দুধের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ডিমের দামও বাড়তি। হালিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডিম।